আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে শ্রীলংকা সফর করছে বাংলাদেশ নারী ‘এ’ ক্রিকেট দল। যদিও দলটিতে বেশিরভাগই জাতীয় দলের ক্রিকেটার। দেশের মাটিতে নারী জাতীয় ক্রিকেট লিগ শেষ করে শ্রীলংকা যায় জ্যোতি–রাবেয়ারা। কিন্তু সেখানে বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয় প্রথম ম্যাচটি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে টাইগার নারীরা। যদিও বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচটিও নেমে আসে ২০ ওভারে। যেখানে লঙ্কানদের ৭ উইকেটে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ১১৩ রান ১২ বল আগে পেরিয়ে যায় সফরকারীরা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রাখতে অবদান রাখলেন রাবেয়া খান, ফাহিমা খাতুন। পরে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন দিলারা আক্তার। সঙ্গে মুর্শিদা খাতুনের কার্যকর ইনিংস ও নিগার সুলতানার অপরাজিত ইনিংসে শ্রীলঙ্কা নারী ‘এ’ দলের বিপক্ষে অনায়াস জয় পেল বাংলাদেশ নারী ‘এ’ দল। দুটি ৫০ ওভারের ও পাঁচটি ২০ ওভারের ম্যাচ খেলতে রাবেয়া খানের নেতৃত্বে ‘এ’ দলের আদলে মূলত জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাই খেলছেন শ্রীলঙ্কায়। দুই দলের প্রথম এক দিনের ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। বাংলাদেশের এদিনের জয়ে বল হাতে অবদান রাখা রাবেয়া ও ফাহিমা নেন দুটি করে উইকেট। আর ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়ে ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৪ বলে ৪৭ রান করেন দিলারা। ৩০ রান করতে মুর্শিদা খেলেন ৩৪ বল। ৪টি চারের সাহায্যে ২৪ রান করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন নিগার সোলতানা। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের চাপে রাখেন বাংলাদেশের বোলাররা। দলটির ইনিংসে চল্লিশ রান করতে পারেননি কেউ। সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে সাথ্যিয়া সান্দিপানির ব্যাট থেকে। একটি ছক্কা ও ২টি চার মারেন তিনি। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি আসেনি একটিও। ২৭ রানে ৩ উইকেট হারানো দলের হাল ধরার পথে সান্দিপানি ও পিউমি ওয়াথসালার ৪৬ রানের জুটি সর্বোচ্চ। ২ চারে ২২ রান করেন পিউমি। শেষ দিকে লঙ্কানদের রানের চাকায় দম দেন মালশা শেহানি। ২ ছক্কায় ১৪ বলে অপরাজিত ২৫ রান করেন তিনি। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই শামীমা সুলতানাকে হারায় বাংলাদেশ। দলকে অবশ্য চাপে পড়তে দেননি দিলারা ও মুর্শিদা। একপ্রান্তে দ্রুত রান বাড়ান দিলারা। আরেক প্রান্তে দেখেশুনে খেলতে থাকেন মুর্শিদা। দ্বিতীয় উইকেটে তাদের ৬০ বল স্থায়ী ৭৪ রানের জুটিতে জয়ের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। দিলারার বিদায়ে ভাঙে চমৎকার জুটি। এক ওভার পর বিদায় নেন মুর্শিদাও। সেট হওয়া দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর দলকে কক্ষপথে রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সোলাতান জ্যোতি। জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার রিতু মনিকে নিয়ে খেলা শেষ করে দেন তিনি। তাদের দুইজনের অবিচ্ছিন্ন ৩৫ রানের জুটিতে রিতুর অবদান ১১।