শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

সেমিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ

অনূর্ধ্ব১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেটের গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব১৯ দলকে ৩৯ রানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের পর্বে পা রাখল যুব টাইগাররা। সেমি ফাইনালে অন্য গ্রুপের রানার আপ দলের মুখোমুখি হবে আজিজুল হাকিম তামিমের দল। দুবাইয়ে বুধবার টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৬ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৪৯ ওভার এক বলে ১৮৬ রান করে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তিন ম্যাচের সবকটি জিতে গ্রুপ সেরা হয়েছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে তারা। শেষ চারের আরেক লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কা খেলবে ভারতের বিপক্ষে। দুটি ম্যাচই মাঠে গড়াবে আগামী শুক্রবার।

ব্যাট করতে নেমে প্রথমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটার। কিন্তু তাদের কেউই খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। ইনিংসে ফিফটি হয়নি একটিও। কোনোমতে সোয়া দুইশ পর্যন্ত যেতে পারে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব১৯ দল। পরে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এই রানই যথেষ্ট করে তোলে ইকবাল হোসেন ও শাহরিয়ার আহমেদরা। লক্ষ্যের ধারেকাছেও যেতে পারেনি শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব১৯ দল।

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমে ৬ বলে দুই ছক্কায় ১২ রান করেন ইকবাল। পরে স্রেফ ৩৭ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন এই পেসার। ব্যাটেবলে দারুণ পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন তিনি। আইসিসি একাডেমি মাঠে এদিন দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেন ছন্দে থাকা জাওয়াদ আবরার। আগের দুই ম্যাচে ফিফটি করা বাংলাদেশ ওপেনার ৪টি করে ছক্কাচারে খেলেন ৩৯ বলে ৪৯ রানের ইনিংস।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ জাওয়াদ ও রিফাত বেগের ব্যাটে ভালো শুরু পায়। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮৪ রান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে রান বাড়ানো জাওয়াদের বিদায়ে ত্রয়োদশ ওভারে ভাঙে এই যুগলবন্দি। আরেক ওপেনার রিফাত বিদায় নেন ৩ চারে ৩৬ রান করে। বাংলাদেশের প্রথম দুই ব্যাটসম্যানকেই ফেরান পেসার রাসিথা নিমসারা। আজিজুল হাকিম ও কালাম সিদ্দিকের জুটিতে আসে ৫৩ রান। ২ চারে ২৯ রান করা আজিজুলের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ১৫৬ থেকে সোয়া দুইশ রানে অলআউট হয়ে যায় দল। ৬৯ রানে শেষ ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশের যুবারা। অনেকটা সময় ক্রিজে কাটিয়ে একটি করে ছক্কাচারে ৬০ বলে ৩২ রান করেন কালাম। সাতে নেমে দুই ছক্কা ও একটি চারে ২৯ রান করেন কিপার ব্যাটসম্যান ফরিদ খান। বাংলাদেশের ইনিংসে পাঁচ জন স্পর্শ করতে পারেননি দুই অঙ্ক। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়ে ২৮ রানে ৪ উইকেট নেন অফ স্পিনার কাভিজা গামাগে। দুটি করে প্রাপ্তি রাসিথা ও ভিরানের।

অল্প পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে যেমন শুরুর প্রয়োজন ছিল, ঠিক সেটাই দলকে এনে দেন ইকবাল ও সামিউন বাশির। সপ্তম ওভারে চিরান চামুদিথাকে কট বিহাইন্ড করেন ইকবাল। পরে দ্রুত দুই শিকার ধরেন বাঁহাতি স্পিনার সামিউন। ১৭তম ওভারে যখন কাভিজাকে কট বিহাইন্ড করেন ইকবাল, লঙ্কানদের রান তখন চার উইকেট ৪৪। এরপর জমে উঠতে থাকতে ভিমাথ দিনসারা ও চামিকা হিনাতিগালার জুটি। ভিমাথকে ফিরিয়ে ৩৬ রানের বন্ধনে ফাটল ধরান শাহরিয়ার।

কয়েক ওভার পর এই বাঁহাতি স্পিনার ধরেন জোড়া শিকার। এরপর আধাম হিল্মির ব্যাটে দেড়শ পার করে লঙ্কানরা। ১ ছক্কা ও তিনটি চারে ২৯ রান করেন আধাম। তাদের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১ রান করতে একটি চার মারেন চামিকা। বাংলাদেশের ইকবাল হোসেন ইমন ছাড়া ৩টি উইকেট পান শাহরিয়ার আহমেদ ২৭ রান খরচায়। ২টি উইকেট নেন সামিউন বশির রাতুল। এছাড়া আজিজুল হাকিম,সাদ ইসলাম রাজিন পান ১টি করে উইকেট।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটিভি ক্যামেরা জার্নালিস্টস এসো’র ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
পরবর্তী নিবন্ধমোস্তাফিজসহ সর্বোচ্চ দাম পাওয়া ১০ ক্রিকেটার