জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করে দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের বোলাররাই। কিউইদের লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৭২ রানের। বড় ব্যবধানেই জয়ের পথে হাঁটছিল কেন উইলিয়ামসনের দল। শেষদিকে একটু ঝাঁকুনি দিলো শ্রীলঙ্কা।
সেই ঝাঁকুনিতে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। তবে আর কিছু হয়নি, কেবল হারের ব্যবধান কমেছে লঙ্কানদের। নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৫ উইকেটে, ১৬০ বল হাতে রেখে।
এতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে নিউজিল্যান্ড, সেমিফাইনালে দিয়ে রেখেছে এক পা। রানরেট বেশ ভালো কিউইদের (০.৭৪৩)। ফলে পাকিস্তান (রানরেট ০.০৩৬) তাদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারালেও শেষ চারে নাম লেখানো কঠিন হবে।
ডেভন কনওয়ে আর রাচিন রাবিন্দ্রর ৮৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতে রান তাড়া বেশ সহজ হয় নিউজিল্যান্ডের। কনওয়ে ৪২ বলে ৪৫ করে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। ৩৪ বলে ৪২ করে এরপর আউট হন রাচিনও।
তবে ড্যারেল মিচেল ৩১ বলে ৪৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে আসেন। শেষদিকে মিচেলসহ ৩২ রানে ৩টি উইকেট হারিয়েছে কিউইরা। তবে জয় পেতে কষ্ট হয়নি।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ২৯ রান খরচায় নিয়েছেন ২টি উইকেট।
এর আগে কুশল পেরেরার ২৮ বলে ৫১ রানের রেকর্ডগড়া ইনিংসের পরও ৪৬.৪ ওভারে ১৭১ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে প্রথমে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। শুরুতেই বিপদে পড়ে লঙ্কানরা। দলীয় ৩ রানের মাথায় প্রথম আর ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে তারা।
অবস্থা বেগতিক দেখে কাউন্টার অ্যাটাকে যান কুশল পেরেরা। এবারের বিশ্বকাপে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন তিনি।
চার-ছক্কায় বল উড়িয়ে ২৮ বলে খেলেন ৫১ রানের ঝোড়ো ইনিংস। তবে ৯ চার আর ২ ছক্কায় গড়া তার ইনিংসটি যখন থামে, ৭০ রানে ইনিংসের অর্ধেকটা শেষ লঙ্কানদের।
সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ২৭ বলে ১৬ আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ২৪ বলে করেন ১৯ রান। ১২৮ রানে ৯ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
দশম উইকেটে মাহিশ থিকসানা আর দিলশান মাদুশঙ্কা কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। নাহলে লঙ্কানদের রান আরও কম হতো। শেষ উইকেট জুটিতে তারা ৮৭ বল খেলে ৪৩ রান যোগ করেন।
মাদুশঙ্কা ৪৮ বল খেলে ১৯ রান করে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন। ৯১ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন থিকসানা।