জেমি সিডন্স বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাথে জড়িত অনেক আগে থেকেই। মাঝখানে বিরতির পর আবার টাইগার শিবিরে এই অস্ট্রেলিয়ান। এবারে তিনি টাইগারদের ব্যাটিং কোচ। ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের জন্য টাইগার ব্যাটসম্যানদের প্রস্তুত করছেন সিডন্স। আর এই সিরিজ নিয়ে দারুন আশাবাদী সিডন্স। শুধু আশাবাদিই নয়, এই সিরিজে শ্রীলংকাকে হোয়াইট ওয়াশ করতে চান সিডন্স। গত বছর শ্রীলংকা সফরে গিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শুরুটা বেশ ভালো করেছিল বাংলাদেশ দল। মোমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরির পাশাপাশি তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসদের হাফ সেঞ্চুরিেেত সিরিজের প্রথম ম্যাচ ছিল ড্র। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি। হারতে হয়েছে বড় ব্যবধানে।
তবে এবারে ভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছেন টাইগার ব্যাটিং কোচ। গতকাল জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সিডন্স বলেন যে লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়েছে সেটা অর্জন করা যে সহজ হবে না সেটা ভালই জানেন তিনি। তবে ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় সবসময়ই সব ম্যাচ জেতার বাড়তি তাড়না কাজ করে বিধায় আশাবাদী সিডন্স। তিনি বলেন, শ্রীলংকার বোলিং সাইড খুব ভাল। ওদের ব্যাটিংও অনেক ভালো। তাই আমাদেরকে নিজেদের সেরা খেলা খেলতে হবে টেস্ট ম্যাচ জিততে। আমাদের লক্ষ্য অবশ্যই ঘরের মাঠে এ দুই টেস্ট জেতা। আমরা সবসময় ঘরের মাঠে সব ম্যাচ জিততে চাই। সিডন্স আরও বলেন বাস্তবতা হলো সবসময় ঘরের মাঠে জেতা হয় না। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। আমরা এই দলের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী। চট্টগ্রামে ভালো ক্রিকেট খেলেছি আমরা। এখন আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমরা যেন পাঁচদিনই ভালো খেলি। পরে দেখা যাবে শেষে কী হয়।
দুই ম্যাচই জেতার কথা বললেও টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের শেষ সিরিজটি মোটেও ভালো কাটেনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতায় দুই ম্যাচে হারতে হয়েছে বড় ব্যবধানে। এরপর দেশে ফিরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলায় লাল বলে অনুশীলনের সুযোগ পাননি ক্রিকেটাররা। সিডন্স বলেন, আমাদের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই দেশে ফেরার পর প্রিমিয়ার লিগে রান করেছে। তাদের আত্নবিশ্বাস বেড়েছে। আর এখানেও আমরা ৪-৫ দিনের সেশন করার সুযোগ পাচ্ছি। আমরা ব্যাটিং নিয়ে অনেক কথা বলেছি। আরও অনেক কথা হবে। সিডন্স বলেন সামনে আরও তিনদিন বাকি আছে অনুশীলন।
আমি মনে করি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর এটি যথেষ্ট। দক্ষিণ আফ্রিকায় লম্বা সফর ছিল। আমার মতে, সফল একটি সফর। আর সেটা ওয়ানডে দলের কল্যাণে। টেস্টে হয়তো খুব একটা ভালো খেলতে পারিনি। তবে ক্রিকেটে এমন হয়। আপনার ভালো দিন যাবে আবার খারাপ দিন যাবে। তবু আমি মনে করি সেই দুই ম্যাচেও ভালো খেলেছি আমরা। তাইজুল এক ম্যাচে ৯ উইকেট পেয়েছে। জয় দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছে। আমরা প্রথম ইনিংসে দারুণ কিছু শুরু পেয়েছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো করতে পারিনি। এখন এদিকেই আমাদের মনোযোগ। প্রথম ইনিংসে আরও বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোই হয়তো আমাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।