সাফ অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপের এক জয়েই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। নেপালে গতকাল মঙ্গলবার শ্রীলংকা ২–০ ব্যবধানে হারায় লাল সবুজের দল। মিরাজুল ইসলাম দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ান পিয়াস আহমেদ নোভা। একটি করে জয়ে ৩ পয়েন্ট স্বাগতিক নেপাল ও বাংলাদেশের। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ‘এ’ গ্রুপের সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল। টানা দুই হারে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে শ্রীলংকার। খেলার প্রথম মিনিটেই আক্রমণ শাণিয়েছিল বাংলাদেশ, কিন্তু বঙে তালগোল পাকিয়ে আসাদুল মোল্লা পারেননি সুযোগ কাজে লাগাতে। সপ্তদশ মিনিটে শ্রীলংকার এক খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন রাব্বী হোসেন রাহুল। তার আড়াআড়ি ক্রস গোলমুখ থেকে টোকায় জালে জড়িয়ে দেন মিরাজুল। ২৯তম মিনিটে রাহুলের ফ্রি কিকে শুরুতে দুখু মিয়া হেড করতে না পারলেও পরে বল ঘুরে ফিরে আসে তার পায়ে, কিন্তু এ দফায়ও স্লাইড করে বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণের সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল, কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও মিরাজুল পারেননি জালে বল জড়াতে। ৭৪তম মিনিটে সতীর্থের লং পাস ধরে বঙে ঢুকে পড়েছিলেন রাজু আহমেদ জিসান, কিন্তু আগুয়ান গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে চিপ করার চেষ্টায় দেরি করে ফেলেন তিনি। ৮৫তম মিনিটে পিয়াস আহমেদ নোভা লক্ষ্যভেদ করলে সেরা চারে খেলা নিশ্চিত হয়ে যায় গতবারের রানার্স আপ বাংলাদেশের। সেমি–ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেলেও এখন গ্রুপ সেরা হওয়া নিয়ে ভাবতে হচ্ছে প্রধান কোচ মারুফুল হককে। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় জানান, স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হওয়ার আগে ফিটনেস ও রক্ষণে উন্নতি করতে হবে তার দলকে। ‘আমাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা অনেক ভালো খেলেছে। প্রথম ম্যাচের তুলনায় এ ম্যাচে তারা ভিন্ন রকম খেলেছে। তারা অনেক আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ করেছে এবং গোল করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হতে পারেনি। এই দলটাকে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য আমি মাত্র দুই সপ্তাহ সময় পেয়েছিলাম। ফিটনেস, ট্যাকটিক্যাল কাজগুলো করার চ্যালেঞ্জ আমার জন্য ছিল, এখনও আমাদের উন্নতির জায়গা আছে, বিশেষ করে ফিটনেস ও রক্ষণের দিক থেকে। তবে এটা প্রথম ম্যাচ, আমি আশা করি, ছেলেরা উন্নতি করবে। পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ নেপাল শক্তিশালী দল, এটা তাদের ঘরের মাঠ, সবকিছুই তাদের পরিচিত, তারা কঠিন প্রতিপক্ষ।’