শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ইউনূসের সাজা বাতিল

| বৃহস্পতিবার , ৮ আগস্ট, ২০২৪ at ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার সাজা বাতিল করে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যিনি ক্ষমতার পালাবদলে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হতে যাচ্ছেন। ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এম এ আউয়ালের (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আদালত বুধবার এ আদেশ দেন।

এ মামলায় শ্রম আদালতের দেওয়া ছয় মাসের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার কর্মকর্তা। শুনানি শেষে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল চারজনকেই অব্যাহতি দিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

প্যারিসে থাকায় ইউনূস এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। বাকি তিনজন হলেনগ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। আদালতে তাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবী এদিন ছিলেন না।

আগামী ১৪ আগস্ট এ মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও বিশেষ পরিস্থিতিতে শুনানি এগিয়ে আনা হয়। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা এই মামলায় ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে গত ১ জানুয়ারি রায় দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন শ্রমিককর্মচারীকে স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করা, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে। ইউনূস বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার হেনস্তা করার জন্য এসব মামলা দিয়েছে বলেও বিভিন্ন সময়ে তিনি অভিযোগ করেছেন। এ মামলা বাতিলের আবেদন নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতেও গিয়েছিলেন ইউনূস। কিন্তু গতবছর মে মাসে তার আবেদন আপিল বিভাগে খারিজ হয়ে যায়।

এরপর গত বছরের ৬ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি তিনি রায় ঘোষণা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিচারের ভার নিজ হাতে তুলে নেবেন না : তারেক রহমান
পরবর্তী নিবন্ধপ্রতিশোধ-প্রতিহিংসা নয়, দেশ হোক শান্তির : খালেদা জিয়া