রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গতকাল বুধবার বিকাল ৪টায় পাহাড়তলীতে রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তর (সিসিএম দফতরে) পরিদর্শনে গেলে প্রবেশ পথসহ পুরো এলাকায় রেলওয়ে শ্রমিক লীগের দু’গ্রুপের ধাক্কাধাক্কি-পাল্টাপাল্টি স্লোগানে চরম ক্ষুব্ধ হন। এসময় রেলমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে মন্ত্রী পাহাড়তলী রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে কর্মকর্তাদের সাথে ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
রেলমন্ত্রী সিসিএম দফতরে ঢোকার সময় রেলওয়ে শ্রমিক লীগের দু’গ্রুপ পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেয়। এসময় মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে শ্রমিক লীগের সিরাজ ও লোকমান গ্রুপের কর্মীরা ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা গেছে। তাদের এই অবস্থা দেখে মন্ত্রী কারো কাছ থেকে ফুল গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে মন্ত্রী সিসিএম দফতর থেকে ফিরে যাওয়ার পথে শ্রমিক লীগের দু’গ্রুপ আবারও পাল্টাপালি স্লোগান দিতে থাকে।
এসময় রেলমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এরকম ধাক্কাধাক্কি কেন? ব্যক্তির নামে কেন এত স্লোগান? স্লোগান দেবেন না। এখানে কে কত বড় নেতা, তা জাহির করতে আসবেন না। রেলের জন্য কাজ করেন। প্রধানমন্ত্রী রেলকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার জন্য অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি। আপনাদেরকে আরো আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। শুধু স্লোগান দিলে হবে না।’
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী এক মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই নিয়োগ শতভাগ দুর্নীতি মুক্ত করব।’ এসময় মন্ত্রী শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীসহ উপস্থিত রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিয়োগের জন্য কেউ নেতা ধরবেন না। নেতাদের টাকা দিবেন না। টাকা দিয়ে এবার কাজ হবে না। এবার মেধা এবং যোগ্যাতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আপনাদের জন্য ৪০ ভাগ পোষ্য কোটা থাকবে।
পরে মন্ত্রী পাহাড়তলীর ডিজেল ওয়ার্কশপে গিয়ে নতুন আমদানিকৃত ১০টি ডিজেল লোকোমোটিভ পরিদর্শন করেন এবং একটি ইঞ্জিনে ওঠেন। এসময় মন্ত্রী চলকের সাথে কথা বলেন। ইঞ্জিনগুলো ট্রায়াল শেষে পূর্বাঞ্চলের আন্তঃনগরে চলবে বলে জানা যায়।