জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর নজরুল ইসলাম বলেছেন, দীর্ঘ দেড় দশক পর দেশের নাগরিকদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, ২০২৬ সালের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশন একটি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে। সেই প্রত্যাশা পূরণ হলে আগামীর নির্বাচন একটি গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা করা যায়। দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের হেফাজত এবং সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ইসলামপন্থিরা অধিকতর প্রতিশ্রুতিশীল। তিনি একটি ইনসাফের দেশ বিনির্মাণে জনগণকে রায় দেওয়ার আহ্বান জানান। যে দেশে শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত হবে। শ্রমিকবান্ধব বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইসলামপন্থিদের পক্ষে শ্রমিকজনতাকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি গতকাল বুধবার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্টর ও থানা দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ–সাধারণ সম্পাদক ও মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এবং নগর সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের শ্রমিক–মেহনতি মানুষের জন্য প্রয়োজন দেশপ্রেমিক, জনদরদী ও দক্ষ নেতৃত্ব। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও পেশিশক্তির রাজনীতি দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, টেকসই উন্নয়ন এবং যথাযথ নাগরিকসেবা দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা জনগণের প্রত্যাশিত সেই নেতৃত্ব উপহার দিতে বদ্ধপরিকর। জামাল খানস্থ নগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের নগর সহ–সভাপতি মকবুল আহম্মেদ ভূঁইয়া, সহ–সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদ উল্লাহ আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মো. নুরুন্নবী, স ম শামীম, জাহাঙ্গীর আলম, মুনিরুল ইসলাম মজুমদার, ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।