হালদা ভ্যালি চা বাগানের উদ্যোক্তা এবং পেডরোলোর চেয়ারম্যান নাদের খান বলেছেন, চা বাগান বিক্রি করে দেবো। আমার তিনটি বাগানের একটি বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শ্রমিকদের আন্দোলন এবং মজুরি বাড়ানোর ব্যাপারটি চা বাগানগুলোকে শেষ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট বলে মন্তব্য করে নাদের খান বলেন, প্রতিটি বাগানই কোটি কোটি টাকার ক্ষতির কবলে পড়েছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠে বাগান টিকিয়ে রাখা কিংবা ব্যবসা করা সম্ভব হবে না। এই শিল্পের ভবিষ্যত অন্ধকার বলেও তিনি মন্তব্য করেন। পেডরোলো চেয়ারম্যান নাদের খান বলেন, দেশের শীর্ষ একটি এনজিও সংস্থার মালিকানাধীন কোম্পানির চারটি বাগান ছিল। তারা ইতোমধ্যে তিনটি বিক্রি করে দিয়েছে। আরো একটি বিক্রি করে দেবে। আমিও একটি বাগান বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নাদের খান বলেন, চা শিল্পের ইতিহাস বহু পুরানো। অনেক চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়েছে এই সেক্টর। ব্রিটিশ আমলে এখান থেকে চা রপ্তানি করতো। পাকিস্তান আমলে চা রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেল। বাংলাদেশ আমলে আমরা আবারো রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হলাম। কিন্তু দেশের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আবার আমরা চা আমদানিকারক দেশে পরিণত হলাম। এই অবস্থায় বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে দেশে চায়ের উৎপাদন বাড়ালো। ৯ কোটি কেজি চা উৎপাদন করা হচ্ছিল দেশে। বাংলাদেশকে আবারো চা রপ্তানিকারক দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে বাগান মালিকেরা কাজ করছিলেন। সবকিছু বেশ সুন্দরভাবে অর্জিত হচ্ছিল। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের আন্দোলন বাগানগুলোকে গভীর সংকটে ফেলে দিল। এই সংকট কাটিয়ে উঠে বাগানগুলোতে স্বাভাবিক উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু করতে বেশ সময় লাগবে বলে মন্তব্য করে নাদের খান বলেন, সরকারের বেশ কিছু পলিসিও এই সেক্টরকে খাদের কিনারে নিয়ে গেছে। বিষয়গুলোর সুরাহা এবং সুষ্ঠুভাবে দেখভাল না হলে এই সেক্টর টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘কিলিং সিচুয়েশান টু গার্ডেন’ বলে মন্তব্য করে নাদের খান বাগান বিক্রি করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান।












