আবু তাহের ভাই আর নেই। আমাদের কৈশোরে তিনি এসেছিলেন মাদারবাড়ি। ক্বারী সাহেব নানা (আম্মার চাচা) নিয়ে এসেছিলেন এতিম এ মানুষটাকে। বায়তুশ শরফ মসজিদ থেকে। নানা, নানী, আম্মা সবার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে দেখেছি সব সময়।
ছাদ বা বাড়ির উঠোন কিংবা দরজা জানালা আর ইবাদত খানা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতেন। বাজার সদাই–পাতি করতেন।
কিছুদিন আব্বার সাথে অফিসেও ছিলেন। অফিসিয়াল কিছু গোছানো কাজ শিখেছিলেন আব্বার সাহচর্যে। আমার লেখাগুলো তাহের ভাইকে দিয়ে পোস্ট করাতাম। আমার লেখা ছাপা হলে পত্রিকা দেখে জানাতেনও। উনি একসময় মুদি দোকান চালাতেন শুধু পুণ্য কাজের জন্য একমাত্র সম্বল দোকান বিক্রি করে আজমীর শরীফ জেয়ারত করতে গিয়েছিলেন। মনটা বড় ছিলো টাকা পয়সা দিয়ে ফেলতেন মানুষকে। আমাদের ইবাদত খানায় দুজন লোক কমিটি চালাতে পারছিলোনা বলে তাহের ভাইয়ের দায়িত্ব ইলিয়াস মামা নেন।ঠিক আমাদের পাশের বাড়িতে থাকেন মামা। তাহের ভাই আম্মার পান সুপারি নিজে নিয়ে আসতেন। ৩০ জানুয়ারি সকালে মামীর পাঠানো চাও খেয়েছিলেন। বারোটার দিকে সুগার ফল করে, চিনি খাওয়ানো হয়। কম্পাউন্ডার মানিক পালস চেক করে জানান তিনি নেই। ভাটিয়ারিতে বাড়ি হলেও মাদারবাড়িতেই শেষ দিন পর্যন্ত ছিলেন। বাদ মাগরিব বায়তুশ শরফে জানাযার পর চৈতন্যগলিতে কবরস্থ করা হয়। আবু তাহের ভাইয়ের আত্মার শান্তি কামনা করি।