শ্যামা পূজা ও দীপাবলী উৎসব উদযাপিত

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ at ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর বিপুল উৎসাহউদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও শ্যামাপূজা ও দীপাবলী উৎসব উদযাপিত হয়েছে। এটি কালীপূজা ও দীপাবলী নামে অধিক পরিচিত। এটি বাঙালি সনাতন সমপ্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মঙ্গল আলোতে চট্টগ্রামের প্রতিটি কালী মন্দির, পূজার জন্য তৈরি অস্থায়ী মণ্ডপসহ বাসাবাড়ি আলোকিত হয়ে উঠে। রাতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় কালী মায়ের পূজা।

চট্টেশ্বরী কালী মন্দির, গোলপাহাড় মহাশ্মশান কালী মন্দির, সদরঘাট কালী মন্দির, লাভ লেইন দয়াময়ী কালী মন্দির, চকবাজারস্থ আনন্দময়ী কালী মন্দির, গোসাইলডাঙ্গা কালী মন্দির, দেওয়ানেশ্বরী কালী মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, কাপাসগোলা কালী মন্দির, পটিয়া ধলঘাট বুড়া কালী মন্দিরে সন্ধ্যায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় সহস্র প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়। রাতে মণ্ডপে মণ্ডপ দেবীর পূজার পাশাপাশি ছিল অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, আরতি, ধর্মীয় সঙ্গীত, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি।

গোলপাহাড় পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে গোলপাহাড় মহাশ্মশান কালী মন্দিরে শ্যামা পূজা উপলক্ষে দিনব্যাপী নানান মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় চণ্ডীপাঠ, এরপর শ্যামাসঙ্গীত ও ভক্তিমূলক গান, দুপুরে মায়ের পূজা ও ভোগ নিবেদন করাসহ প্রসাদ আস্বাদন করেন ভক্তরা। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ধর্মসম্মেলন ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন। এতে আর্শীবাদক ছিলেন মহানাম বন্ধুমঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ মৃগাঙ্ক শেখর ব্রহ্মচারী, উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন, প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। পরিষদের সভাপতি দোদুল কান্তি দত্তের সভাপতিত্বে আলোচনায় অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট নিখিল কুমার নাথ ও মহিলা সম্পাদিকা সুচিত্রা গুহ টুম্পা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ দাশ বিষু। বক্তব্য রাখেন মহানগর পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশিষ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্বল, মোহাম্মদ আব্দুল আজিম, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, হরিপদ দে, মনিলাল দে, দেবাশীষ নাথ দেবু, ধর্মীয় বক্তা অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউত্তরা মোটর্স লিমিটেডের ডিলার কনফারেন্স
পরবর্তী নিবন্ধসরকার মাদ্রাসা শিক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছেন