শো-রুম নাকি ময়লা ফেলার ‘স্টেশন’

বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভারের নিচে কী হচ্ছে

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ

নগরীর বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভারের নিচে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা স্থাপনা। ফ্লাইওভারের নিচে ভবন নির্মাণ করে তার ভিতরে ময়লা ফেলার জন্য বিশেষ ধরনের স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তবে স্থানীয়রা বলছেন, মোটরসাইকেলের শোরুম করার জন্য ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

চান্দগাঁও এক কিলোমিটার এলাকার রিদম স্কয়ারের সামনে ফ্লাইওভারের নিচে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে কিছুদিন ধরে। শ্রমিকেরা প্রতিদিন কাজ করছেন। তারা আজাদীকে জানান, মোটরসাইকেলের শোরুম করার জন্য স্থাপনাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে এই নির্মাণের সাথে কারা জড়িত সেই সম্পর্কে তারা বিশেষ কিছু জানাতে পারেননি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম আজাদীকে জানান, ফ্লাইওভারের নিচে

 

ময়লা ফেলার এসটিএস নির্মাণ করা হচ্ছে। এসটিএসে ঢাকনাযুক্ত দুটো কন্টেনার থাকবে। স্থানীয় বিভিন্ন বাসাবাড়িসহ পুরো এলাকা থেকে সংগৃহীত ময়লা ভ্যান গাড়িতে করে নিয়ে এসে এসটিএসে রাখা কন্টেনারে ফেলা হবে। পরে পুরো কন্টেনারটি ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে।

কোনো দুর্গন্ধ বের হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বের হবে না। ঢাকনা থাকবে। দেয়ালের বাইরে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে। বর্তমানে তো ময়লা খোলা জায়গায় ফেলা হচ্ছে। সে হিসেবে এখানে নিরাপদ। এমনভাবে করা হবে, পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না।

তিনি বলেন, এতদিন আমরা খড়মপাড়ার মুখে সেকেন্ডারি স্টেশনে ময়লা ফেলতাম। সেখানে বাস কাউন্টার করায় ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া রাস্তায় কন্টেনার ঘুরাতে গেলে জ্যাম হয়ে যায়। তাই এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে চসিকের নিজস্ব কোনো জায়গা না থাকায় ফ্লাইওভারের নিচে বাধ্য হয়ে এসটিএস করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এসটিএস হচ্ছে বাসাবাড়ি থেকে সংগৃহীত ময়লা রাখার সেকেন্ডোরি স্টেশন। বাসা থেকে সংগৃহীত ময়লা ভ্যান বা টমটমে করে নিয়ে এসে এসটিএসে রাখা খালি কন্টেনারে ফেলা হয়। পরে খালি আরেকটি খালি কন্টেনার রেখে ময়লাভর্তি কন্টেনারগুলো নিয়ে যাওয়া হয় চসিকের আবর্জনাগারে। বর্তমানে চসিকের বেশিরভাগ এসটিএস রয়েছে খোলা জায়গায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপি কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে, প্রশ্ন নাছিরের
পরবর্তী নিবন্ধদমন-পীড়ন চালিয়েও ছাত্রদের দমানো যায়নি