শেষ হল মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম প্রকল্পের নকশার কাজ

৬ জানুয়ারি পরিদর্শন করবেন জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

চান্দগাঁও থানাধীন কর্ণফুলীর হামিদ চরে প্রস্তাবিত ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ প্রকল্পের নকশার কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্প পরিদর্শন করবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম। আগামী ৬ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় সার্কিট হাউজ থেকে সরাসরি তিনি হামিদ চরে যাবেন।
এদিকে প্রকল্পের নকশা পরিবর্ধন ও সংযোজনের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। তিনি বলেন, গত মাসেই প্রকল্পের নকশা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা কিছু মতামত দেওয়ায় এবং সে অনুযায়ী পরিবর্ধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। আশা করছি, আগামী জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরিবর্ধিত ও সংযোজিত নকশা উপস্থাপন করতে সক্ষম হব।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম ৫ তারিখ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসবেন এবং সার্কিট হাউজে অবস্থান করবেন। ৬ তারিখ তিনি ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ নামের সরকারি সম্মিলিত অফিস নির্মাণের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করবেন। একই দিন তিনি বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কার্যালয় পরিদর্শন ও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করবেন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহরে কর্মরত বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাথে সার্কিট হাউজে মতবিনিময় করবেন।
২০২২ সালের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে বিশাল হামিদ চর প্রকল্পের কাজ। যেখানে গড়ে তোলা হবে প্রায় ৪৪ টি সরকারি অফিস। সমন্বিত এ প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’। নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বন্দর মৌজার কর্ণফুলীর তীরে জেগে উঠা হামিদ চরের ১১০ একরের বেশি জায়গার উপর নির্মাণ হবে সরকারের এ প্রকল্প। মূলত নগরীর চাপ কমাতে ও নাগরিকদের এক জায়গায় সব ধরনের সেবা দিতে উদ্যোগটি নেয়া হয়। প্রকল্পে কোর্ট হিলে থাকা চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সার্কিট হাউজসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা অন্যান্য কার্যালয়ও থাকবে। পাশাপাশি নির্মাণ করা হবে কনভেনশন সেন্টার, শপিং মল, মাল্টি স্টোরেড কার পার্কিং, স্কুল-কলেজ, পরিবহন পুল, পেট্রোল পাম্প, স্মৃতিসৌধ, নভোথিয়েটার ও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলাইব্রেরি হচ্ছে পৃথিবী পাল্টে দেয়ার সূতিকাগার
পরবর্তী নিবন্ধনতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী