বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ৯ দিন আগে শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের পর্দা নেমেছে গতকাল শনিবার। করোনাকালে যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত আয়োজনে হাজারও ক্রীড়াবিদের পদচারনা শেষে গেমসের শেষটা হলো গতকাল রাতে। গেমসের নানান দিক নিয়ে ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনীর পর সংক্ষিপ্ত পরিসরে লেজার শো-আতশবাজি ও বিউগলের সুরে নিভে যায় গেমসের মশাল। করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে এই গেমস আয়োজন নিয়েই বড় শঙ্কা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) কোনও বাধা-বিপত্তি ছাড়াই দেশব্যাপী ২৯টি ভেন্যুতে সফলভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশের ক্রীড়ার সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা। গেমস ১ এপ্রিল উদ্বোধন হলেও ফুটবল, ক্রিকেট ও হকি মাঠে গড়িয়েছিল আগেই। এই ক্রীড়া উৎসবে ৩১ ডিসিপ্লিনের ৩৭৮ ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন ৫৩০০ ক্রীড়াবিদ। প্রতিটি ভেন্যুতেই ছিল উৎসবের আমেজ। খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও ক্রীড়াবিদদের মাঝে গেমস নিয়ে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। গেমসের সমাপনীতে এসে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশেনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘এই গেমস আয়োজনে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। তা সফলভাবেই হয়েছে বলে আমরা সন্তুষ্ট।’ করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় সমাপনী অনুষ্ঠান হয়েছে সংক্ষিপ্ত আকারে। ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে গেমসের সমাপ্তি টানেন। এ সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বিওএ সভাপতি জেনারেল আজিজ আহমেদও বক্তব্য দেন। ১০ দিনের গেমসে আগেরবারের মতো এবারও শ্রেষ্ঠত্ব বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির। তাদের ঝুলিতে জমা পড়েছে মোট ২৬৯ পদক। এর মধ্যে ১৩২ সোনা, ৮০ রুপা ও ৫৭ ব্রোঞ্জ পদক। এরপরই আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাদের অর্জন ২৯৭ পদক। ১১৫ সোনা, ৯৯ রুপা ও ৮৩ ব্রোঞ্জ। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ১২৫ পদক নিয়ে হয়েছে তৃতীয়। যার মধ্যে রয়েছে ৬৩ সোনা, ৩৯ রুপা ও ২৫ ব্রোঞ্জ পদক। বাংলাদেশ আনসার সেরা হলেও ব্যক্তিগতভাবে সোনার পদক বেশি পেয়েছেন নৌবাহিনীর সোনিয়া আক্তার। ৮টি সোনা জিতেছেন এই সাঁতার-কন্যা। তার ইভেন্টগুলো হলো- ৮০০ মিটার ফ্রিস্টাইল, ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল, ৪ গুনিতক ফ্রিস্টাইল রিলে, ২০০ মিটার বাটারফ্লাই, ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইল, ৪ গুনিতক ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলে, ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলে ও ৪ গুনিতক ১০০ মিটার মিডলেতে।
এমন সাফল্যের পর উচ্ছ্বসিত সোনিয়া, ‘এ বছর কঠোর পরিশ্রম করেছি। ভাবিনি এত ভালো ফল হবে। আসলে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছি। পুলে তার প্রতিফলন ঘটায় আমি অনেক খুশি।’












