পাকিস্তান অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটি ছিল কেবলই আনুষ্ঠানিকতার। আর সে ম্যাচেও হারল স্বাগতিক যুবারা। রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত যুব ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮০ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। ২৪৫ রানের লক্ষ্যে ৮১ বল বাকি থাকতে ১৬৪ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান আজান আওয়াইস এবং শাহজাইবের উদ্বোধনী জুটিতে তুলে নেয় ৮৮ রান। আরিফুল ইসলামের বলে আজান ফিরলে ভাঙে এ জুটি। আজান করেন ৪১ রান। সব মিলিয়ে সিরিজে তার রান সর্বোচ্চ ২৬৯। এরপর ওয়াহাজ রিয়াজ ও মির্জা সাদ বেগ দ্রুত ফিরে গেলে একশর আগে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। সে চাপ সামাল দেন শাহজাইব ও হামজা। শাহজাইব ফিরেন ৬৭ রান করে। পঞ্চম উইকেটে আরাফাতের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৭৫ রান যোগ করেন হামজা। ৪০ রান করে ফিরেন আরাফাত। এরপর দলকে টানেন হামজা। আর তার ব্যাটে চড়ে পাকিস্তান পৌঁছে যায় ২৪৫ রানে। ৭২ রান করে ফিরেন হামজা। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ উইকেট নেন মাহফুজুর রহমান। জবাবে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ প্রথম পাওয়ার প্লেতেই হারিয়ে বসে ৪ উইকেট আশিকুর রহমান, মইনুল ইসলাম, জিসান ও আরিফুল ফিরেন ৩৮ রানে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আহরার ও শিহাব। দুজনের জুটিতে আসে ৮৩ রান। আহরার ফিরলে ভাঙ্গে এজুটি। হাফ সেঞ্চুরির পর আর বেশিদুর এগুতে পারেননি আহরার। ফিরেছেন ৫৮ বলে ৫৩ রান করে । আহরারের বিদায়ের পর জাকারিয়া ইসলামকে নিয়ে এগোতে থাকেন শিহাব। এজুটি ভাঙেন ওয়াহাজ রিয়াজ। ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন জাকারিয়া। সেখান থেকেই শুরু শেষের ধসের। ৩৫তম ওভারে আরাফাতের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন শিহাব। ৭৯ বলে ৫৬ রান করেন তিনি। এরপর আর কোনো রান যোগ না করেই ড্রেসিং রুমে ফিরেন বাকি তিন ব্যাটসম্যান। ৯ রানের মধ্যে শেষের ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ৪ উইকেট পড়েছে শূন্য রানে। এর আগে ৩৮ রানে ফিরেন প্রথম চার ব্যাটসম্যান। শুরু ও শেষের এই ব্যাটিং বিপর্যয়েই মূলত ম্যাচটি হারল বাংলাদেশ। আগের ম্যাচেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করা সফরকারীরা শেষ ম্যাচ জিতে ব্যবধান করল ৪–১। তৃতীয় ম্যাচটি জিতেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই স্পিনার আলি আসফান্দ ও আরাফাত আহমেদ। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন হামজা নাওয়াজ। আর ম্যান অব দ্যা সিরিজ হয়েছেন শাহজাইব খান।












