বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন ইতিহাস রচনা করল নারী ফুটবলাররা। প্রায় ৪৬ বছর পর এশিয়া কাপে খেলবে বাংলাদেশ দল। ১৯৮০ সালে প্রথম এবং শেষবারের মত এশিয়া কাপে খেলেছিল কাজি সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল। তার ৪৬ বছর পর ঋতুপর্নারা খেলবে এশিয়া কাপে। প্রথমবারের মতো উইমেন’স এশিয়ান কাপের মূল পর্বের টিকেট মিলেছে। লেখা হয়েছে নতুন ইতিহাস। স্বভাবতই উদযাপন কেমন হলো সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে বাঁধনহারা উদযাপন হয়নি এখনও নারী ফুটবলারদের। তেমনটি জানালেন ডিফেন্ডার শিউলি আজিম। তুর্কমেনিস্তান ম্যাচের পরই মনভরে উৎসব করার অপেক্ষায় পুরো দল। উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে আগামীকাল শনিবার তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বাহরাইন ও মিয়ানমারের বিপক্ষে জয়ে মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এই ম্যাচটি মেয়েদের জন্য কেবলই নিয়মরক্ষার। তবে শতভাগ সাফল্য দিয়ে বাছাই শেষ করতে মুখিয়ে আছেন শিউলি ও তার সতীর্থরা। দুটি উইমেন’স সাফ জয়ী এই ডিফেন্ডার দিলেন আরও চমকপ্রদ তথ্য। বললেন, বাছাইয়ের গ্রুপিং দেখেই নাকি তাদের মনে বিশ্বাস জন্মেছিল ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন যখন আমরা আমাদের গ্রুপটা দেখেছিলাম, তখন আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা সবাই যদি চাই আর হৃদয় দিয়ে চাই এবং খেলি তাহলে আমরা কোয়ালিফাই করতে পারব। এখনও আমাদের একটা ম্যাচ বাকি আছে। তাই আমরা ওভাবে উদযাপন করিনি। শেষ ম্যাচ খেলে আমরা পুরোদমে উদযাপন করব। গতকাল বৃহস্পতিবার অবশ্য মাঠের অনুশীলন করেনি মেয়েরা। হালকা স্ট্রেচিং, সুইমিংপুলে সময় কাটিয়েছেন রিকভারির জন্য। শিউলি যদিও বলছেন, বাঁধনহারা উদযাপন করেননি তারা। তবে টিম ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান লিটু জানিয়েছেন দুর্দান্ত প্রাপ্তির আনন্দে খোশ মেজাজেই আছে মেয়েরা। তিনি বলেণ আমাদের মেয়েরা খুব ভালো আছে। ভালো মুডে আছে। আগেরদিন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ গেছে। এজন্য আজ আমরা রিকভারি করছি। স্ট্রেচিং করে সুইমিং করেছে। এমিয়া কাপের বাছাই পর্ব পেরুনোটা আমি বলব, আমাদের মেয়েদের এত দিনের যে কষ্ট, এতদিনের যে জার্নি, যে পরিশ্রম মেয়েরা করেছে, তার ফসল আমরা পেয়েছি। মেয়েরা একটা ইতিহাস গড়েছে। আমাদের আরেকটা ম্যাচ আছে। এ ম্যাচটাকেও গুরুত্ব দিচ্ছি। আশা করি আমাদের মেয়েরা সামনে আরও ভালো করবে।