শেষ মুহূর্তে বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে চকরিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে বসানো পশু বিকিকিনির ১৭ হাট। এসব হাটে এখন ক্রেতা-বিক্রেতাসহ ব্যাপক মানুষের সমাগম। সরজমিন প্রতিটি পশুর হাটে এই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিকে কোরবানির পশুর হাটে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জোরদার করা হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাশাপাশি প্রতিটি পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণে স্থাপন করা হয়েছে মেশিন।
চকরিয়ার বড় পশুর হাটগুলোতে চট্টগ্রাম শহর, পটিয়া, বোয়ালখালী, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া থেকেও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। তবে পশু আনা-নেওয়ায় ব্যবহৃত যানবাহনের কারণে ব্যাপক যানজটেরও সৃষ্টি হয়। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম একতা বাজারের পশুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান। এ সময় সাথে ছিলেন চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম, থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী, অপারেশন অফিসার রাজীব সরকার, হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) আজহারুল ইসলাম।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, কক্সবাজার জেলার কোরবানির পশুর হাটগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার করা হয়েছে। হাটগুলোতে মৌসুমী অপরাধী ধরতে যেমন পুলিশ তৎপর রয়েছে, তেমনি জালনোট শনাক্ত করতেও মেশিন বসানো হয়েছে। আবার পশু আনা-নেওয়ায় ব্যবহৃত যানবাহনের কারণে যাতে কোথাও যানজটের সৃষ্টি না হয় সেদিকেও পুলিশ বেশ তৎপর রয়েছে। তাই এখনো পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার কোরবানির পশুর হাটগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী দৈনিক আজাদীকে বলেন, কোরবানির পশুর হাটগুলোর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ বেশ তৎপর রয়েছে। তাই এখনো পর্যন্ত কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।