নগরীর মার্কেটগুলোতে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। গতকাল দিনভর ক্রেতারা এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে ঘুরে ঘুরে নিজেদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরেছেন। সকালের দিকে মার্কেটে তেমন চাপ না থাকলেও দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই ক্রেতার চাপ বাড়ে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে মার্কেটে জমজমাট বেচাবিক্রি চলছে। ক্রেতারাও স্বাচ্ছন্দ্য কেনাকাটা সারছেন। গত দুই বছর করোনার কারণে ব্যবসায়ীরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, সেটি অনেকটা কাটিয়ে উঠছে।
সরেজমিনে গতকাল নগরীর টেরীবাজার, নিউ মার্কেট বিপণী বিতান, রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, বালি আর্কেড, কেয়ারি ইলিশিয়াম, সেন্ট্রাল প্লাজা, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, শপিং কমপ্লেক্স, স্যানমার ওশান সিটি, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমীন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট এবং মতি টাওয়ারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেকটি দোকানে পা ফেলার জায়গা নেই। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিক্রেতারাও বিরতিহীনভাবে বিভিন্ন ধরনের পোশাক এবং পণ্যের কালেকশন দেখিয়ে যাচ্ছেন। ক্রেতারা আগ্রহ সহকারে সে সব পণ্য খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন। টেরীবাজারে আসা
ক্রেতা সাইফুল আলম বলেন, ঈদের সময় একদম সন্নিকটে। ইতোমধ্যে পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা সেরে ফেলেছি। এখন নিজের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি। এ বছর ভালো ভালো ডিজাইনের পাঞ্জাবি নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও দাম একটু বেশি। জাকির হোসনে নামের এক বিক্রেতা বলেন, ইফতারের পর মার্কেটে ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। বলা যায়, বিক্রির চাপে বিক্রেতাদের দম ফেলার ফুসরত থাকে না।
তামাকুমণ্ডিতে আসা গৃহিণী ফৌজিয়া সুলতানা বলেন, ঈদের জামা কাপড় আগেই কিনেছি। এখন কিছু কসমেটিকস কিনতে এসেছি। মার্কেটে এখন প্রচণ্ড ভিড়। তারপরেও অনেক কষ্ট করে কেনাকাটা সেরেছি।
তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, ঈদের সময় ঘনিয়ে এসেছে। এখন তাই স্বাভাবিকভাবে মার্কেটে ক্রেতাদের চাপ থাকবে। বিশেষ করে ইফতারের পর থেকে মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার ঈদের বাজারে বেচাবিক্রি যেমন হবে আশা করেছিলাম, ঠিক সেই রকম হচ্ছে। তাই ব্যবসায়ীদের মুখেও হাসি ফুটেছে।
জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল আমিন আজাদীকে বলেন, মার্কেটে ক্রেতাদের আনাগোনায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার। শেষ মুহূর্তে কেনাকাটা সারতে ক্রেতারা খুব ব্যস্ত সময় পার করছে। জহুর হকার্স মার্কেটে সব সময় ক্রেতা সমাগম একটু বেশি হয়। কারণ মার্কেটটি ক্রেতাদের জন্য অন্যতম প্রধান ভরসাস্থল। জহুর হকার্স মার্কেটে কম দামে ভালো মানের পণ্য পাওয়া যায়, তাই উচ্চবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতারাও এখানে ঢুঁ মারেন। এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ কেনাকাটা হচ্ছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট।
সেন্ট্রাল প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তাক আহম্মদ চৌধুরী বলেন, ঈদের সময় আর বেশিদিন নেই। তাই এখন মার্কেটে ক্রেতাদের খুব বেশি চাপ রয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে আমরা নিত্যনতুন ডিজাইনের পণ্যের সমাহার নিয়ে এসেছিলাম। আমাদের মার্কেট থেকে পণ্য কিনে ক্রেতারাও হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন।