শেষ পর্যন্ত হেরেই গেল বাংলাদেশের যুবারা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ৪ মে, ২০২৩ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

প্রথম ইনিংসে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ ভালই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব১৯ দল। কিন্তু শেষ রক্ষাটা হলো না। অধিনায়ক শাহরিয়ার সাকিবের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পরও শেষের দিকের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত বড় পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে টাইগার যুবাদের। জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের একমাত্র চারদিনের ম্যাচে পাকিস্তানের যুবারা ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশের যুবাদের। সে সাথে ১০ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিয়েছে তারা। ব্যাটে আর বলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে সফরকারী পাকিস্তান অনূর্ধ্ব১৯ দল। স্বাগতিকরা পেরে উঠেনি তাদের সাথে। গতকাল ম্যাচের চতুর্থ ও শেষ দিনে পাকিস্তানের সামনে মাত্র ২২ রানের লক্ষ্য মাত্রা দাঁড় করাতে পেরেছিল বাংলাদেশের যুবারা। মাত্র ৬.৩ ওভার খেলে কোন উইকেট না হারিয়ে সে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তানের যুবারা। আর তাতেই ১০ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। ৪টি চারের সাহায্যে ২০ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান শাহজাইব খান। আর আজান অপরাজিত থাকেন ৪ রানে।

প্রথম ইনিংসে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৪৯ রানে।

জবাবে পাকিস্তানি ওপেনার শাহজাইব খানের ১৭৪ রানের ওপর ভর করে ৪২০ রানের পাহাড় গড়েছিল পাকিস্তান। ফলে ২৭১ রানের বড় লিড পায় সফরকারীরা। এরপর ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৯২ রানে। দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে লড়েছেন শাহরিয়ার সাকিব। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে যুব টেস্টে একাধিক সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ১৪ চারের সাহায্যে ২৩৫ বলে ১০৬ রান করেন সাকিব। গত ডিসেম্বরে পাকিস্তান সফরে নিজের প্রথম টেস্টে ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যুব টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস সেটি। প্রথম ইনিংসে তিনি করেছিলেন ৪৮। গতকাল চতুর্থ দিনে ইনিংস পরাজয় এড়াতে ১০৫ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। ৭ উইকেট হাতে রেখে দিন শুরু করে প্রথম ঘণ্টায় নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা একান্ত শেখের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে জাকারিয়া ইসলামের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন সাকিব। দলের স্কোর আড়াইশর কাছে যেতেই ফিরেন ২৩ রান করা জাকারিয়া। জাকারিয়া ফেরার পর আলি আসফান্দের বলে চার মেরে সেঞ্চুরি পূরণ করেন সাকিব।

এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। আসফান্দের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে শেষ হয় তার ২৩৫ বলের ইনিংস। তাতে বাংলাদেশের পরাজয়ও প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর মাত্র ৩০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে বড় হারের সামনে পড়ে যুবারা। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের পেসাররা আগুন ঝরালেও দ্বিতীয় ইনিসে আগুন ঝরিয়েছেন স্পিনাররা। দলটির দুই বাঁহাতি স্পিনার আলি আসফান্দ ও আরাফাত মিনহাস মিলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। যেখানে আসফান্দের শিকার ৪ ব্যাটসম্যান। আর আরাফাত নিয়েছেন ৩টি। বাংলাদেশ দলের শেষ পাঁচজন ব্যাটার ফিরেছেন বোল্ড হয়ে। ২টি উইকেট নিয়েছেন পেসার মোহাম্মদ ইসমাইল। বাংলাদেশের ওয়াসি সিদ্দিকী নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ১৭৪ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১৯ রান করা পাকিস্তানের ওপেনার শাহজাইব খান জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন ম্যাচ রেফারি সেলিম সাহেদ। এ সময় জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী খান রুবেলসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। একই মাঠে আগামী শনিবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে চিটাগাং রয়্যালস এবং সিটি ক্লাবের জয়
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১১.৯৯ কোটি টাকা