ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে সাগরে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে ৭ অক্টোবর। ফলে শেষ ট্রিপে মাছ ধরে সাগর থেকে ফিরতে শুরু করেছে জেলেরা। কঙবাজারের ২০% ট্রলার ঘাটে ফিরেছে, বাকিগুলোও কাল বুধবারের মধ্যে ফিরবে বলে আশা করছে ট্রলার মালিক সমিতি।
ট্রলার মালিক সমিতির জানায়, ঘাটে ফিরে আসা ট্রলারগুলো পোতাশ্রয়ে নোঙর করে রাখা হয়েছে। আর কিছু ট্রলারকে পাঠানো হয়েছে ডকইয়ার্ডে।
কঙবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, কঙবাজারে ছোট বড় প্রায় ৮ হাজার নৌ-যান আছে। যার মধ্যে বড় নৌকায় ৩০ থেকে ৪০ জন এবং ছোট নৌকায় ৫ থেকে ১৭ জন জেলে থাকে। আবার কঙবাজার শহরতলীর দরিয়ানগর ঘাটের ইঞ্জিনবিহীন ককশিটের বোটে থাকে মাত্র ২ জন জেলে। বোটগুলোর মধ্যে ইলিশ জালের বোটগুলো গভীর বঙ্গোপসাগরে এবং বিহিন্দি জালের বোটগুলো উপকূলের কাছাকাছি মাছ ধরে থাকে। যে কারণে ইলিশ জালের বোটগুলো পক্ষকালের রসদ নিয়ে এবং বিহিন্দি জালের বোটগুলো সাগর মাত্র একদিনের রসদ নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। বিহিন্দি জালে ইলিশ ব্যতীত ছোট আকারের প্রায় পাঁচ প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে, যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘পাঁচকাড়া’ (পাঁচ প্রকারের) মাছ বলা হয়।
তিনি জানান, বিহিন্দি জালের বোটগুলো নিষেধাজ্ঞার আগেরদিন পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরবে। কিন্তু ইলিশ জালের বোটগুলো কার্যত মঙ্গলবারই মাছ ধরা শেষ করে বুধবার দুপুরের মধ্যেই ঘাটে ফিরে আসবে। কারণ কাল বুধবারের পর কঙবাজার থেকে মাছ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে।
শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারীঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, সোমবার কঙবাজার থেকে প্রায় ৬৫ মেট্রিক ইলিশ রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবার আরো বেশি সংখ্যায় ট্রলার ফিরবে। এ কারণে মাছের পরিমাণও বেশি হতে পারে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান জানান, ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাগর ও নদী মোহনায় মাছ ধরা ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এই সময়ে মাছ পরিবহণ ও সংরক্ষণের ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য নজরদারি জোরদারের পাশাপাশি অভিযানও চালানো হবে।