শেষটা রাঙানো হলো না

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ

কথায় আছে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। যদিও ভালো কাজটা আগেই সেরে ফেলেছে বাংলাদেশ সিরিজ জিতে নিয়ে। তারপরও নানা কারণে শেষ ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের জন্য। আগের দিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া বেশ কয়েকজন এই সিরিজের দলে থাকলেও তাদের মাঠে নামা হয়নি। ফলে শেষ ম্যাচটাতে তাদের পরখ করে নেওয়ার একটা সুযোগ ছিল।
কিন্তু সে সুযোগটাকে কাজে লাগাতে পারেনি সৌম্য সরকার, শামীম পাটোয়ারী, শরীফুল এবং তাসকিনরা। ব্যাট হাতে ব্যর্থ সৌম্য এবং শামীম করেছেন যথাক্রমে ৪ এবং ২ রান। আর শরীফুল এবং তাসকিন সফল হতে পারেননি বল হাতে। শরীফুল ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৮ আর তাসকিন দিয়েছেন ৩৪ রান। যদিও দল হিসেবে গতকাল মোটেও ভালো খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। যার পরিণতি শেষ ম্যাচে হার। আর তাতে সিরিজের ব্যবধানটা ৩-২ করল নিউজ্যিলান্ড। শেষ মাচে টাইগারদের হার ২৭ রানে। গত দশ ম্যাচে প্রথমবারের মতো দেড়শর বেশি রান হয়েছে মিরপুরের উইকেটে। কিন্তু বাংলাদেশ বন্দি সেই ১৩৪ রানেই। ফলে শেষ ম্যাচের জয় নিয়ে দেশে ফিরতে পারছে কিউইরা। সিরিজ হার এড়াতে না পারলেও অন্তত শেষ ম্যাচে জয়ের স্বস্তিটা সঙ্গী হয়েছে কিউইদের।
টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ঝড় তোলেন ব্যাট হাতে। বিশেষ করে ফিন অ্যালেন ছিলেন বেশি মারমুখি। যদিও ষষ্ট ওভারে দুই ওপেনারকে ফেরান শরীফুল। রাচিন রবীন্দ্র কিছুটা রয়ে সয়ে খেলে ১২ বলে ১৭ রান করলেও অ্যালেন করেন ২৪ বলে ৪১। যেখানে ৩টি বিশাল ছক্কার মার ছিল। এরপর ইয়ং এবং কলিন ডি গ্রান্ডহোম দ্রুত ফিরে এলেও হেনরি নিকোলাসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ২১ বলে ২০ রান করে গ্রান্ডহোম ফিরলেও ল্যাথাম অপরাজিত ছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। এই সিরিজে এটি কিউই অধিনায়কের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
৩৭ বলে ২টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন ল্যাথাম। অপর প্রান্তে ১০ বলে ১৭ রান করে ম্যাক কনচি। আর তাতেই ১৬১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম ২ উইকেট পেলেও চার ওভারে খরচ করেছেন ৪৮ রান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, নাসুম ও আফিফ।
১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে নাঈম এবং মাঝখানে আফিফ মাহমুদউল্লাহ ছাড়া বাকি কেউ সুবিধা করতে পারেনি মোটেও। পুরো সিরিজে ব্যর্থ লিটন দাশ। এবার ফিরলেন ১২ বলে ১০ রান করে। তিন নম্বরে নামা সৌম্য সরকার পারলেন না পরীক্ষাটাতে পাশ করতে। ফিরেছেন ৯ বলে ৪ রান করে। দলের ইনিংসে শুরুটা প্রায় প্রতি ম্যাচেই ভালো করেছেন নাইম শেখ। শেষ ম্যাচে তিনিও ফিরলেন ২১ বলে ২৩ রান করে। পরের ওভারে মুশফিকও ফিরেন ব্যর্থ হয়ে। টানা তিন ম্যাচেই হাসল না মুশফিকের ব্যাট। ৪৬ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন আফিফ এবং মাহমুদউল্লাহ। ৬৩ রানের দারুন জুটিও গড়ে তুলেছিলেন দুজনে। কিন্তু এবার আর পারলেন না মাহমুদউল্লাহ। ফিরেছেন ২১ বলে ২৩ রান করে। এজুটি ভাঙার পর বাংলাদেশের পরের ব্যাটসম্যানরা আর পারেনি দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে। একপ্রান্ত আগলে রেখে আফিফ চেষ্টা করে গেছেন বটে। সঙ্গীর অভাবে নিজের হাফ সেঞ্চুরিটাও পূরণ করতে পারেনি আফিফ। অপরাজিত থেকেছেন ৪৯ রানে। তার ৩৩ বলের ইনিংসটিতে ২টি চার এবং ৩টি ছক্কার মার ছিল। বাংলাদেশ থেমেছে ১৩৪ রানে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে স্কট কুগেলেইন ও এজাজ প্যাটেল নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। ম্যাচ সেরা টম ল্যাথাম। আর সিরিজ সেরা টম ল্যাথাম এবং নাসুম আহমেদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে ১১ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৪
পরবর্তী নিবন্ধসংক্রমণ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী