ইংরেজি সাহিত্যের বিশ্ববিশ্রুত রোমান্টিক পুনর্জাগরণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি পার্সি বিশী শেলী শুধুমাত্র বিশ্ব সাহিত্যের অঙ্গনের একজন আলোচিত অনুকরণীয় দাপুটে গীতিকবি নন সমসাময়িক সমাজ ও রাজনীতির অর্গলাবদ্ধ অচলায়তনের ও অবরুদ্ধ জগতের এক দ্রোহী কন্ঠ স্বর। ঐশী শক্তি নির্ভর প্লেটো–এরিষ্টটলের স’বির ভাবাদর্শিক রাজত্বের প্রায় এক সহস্রাব্দ পরে বেকনের আবির্ভাব, কোপার্নিকাস ও নিউটনের আবিস্কার এবং রেঁনেসা কেন্দ্রিক মানবতাবোধ আধুনিক জীবন বোধের সূচনা করে। ফরাসী বিপ্লবের ভাবাদর্শকে তিনি জীবন ও সাহিত্যের মৌলিক উপকরণ হিসাবে বেছে নেন। আধুনিকতার মূল সুর সুপ্ত ছিল অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ পর্বের বিশেষ করে দ্বিতীয় প্রজন্মের রোমান্টিক ত্রয়ী কবির সৃষ্টি ও ভাবনায়– শেলি, বায়রন ও কীটসের মধ্যে। আধুনিকতার মূল উপাদান যদি হয়ে থাকে সমসাময়িক সংকীর্ণ বিশ্ব বীক্ষাকে অতিক্রম করে এগিয়ে যাবার প্রচেষ্টা, সার্বিকভাবে মানব মুক্তির অন্বেষা, তবে এঁদের মধ্যে শেলি হলেন সর্বাগ্রগণ্য। সমকালীন ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিকূলতার বিপরীতে বিশ্বজনীন মানবিক কল্যাণ চিন্তায় ঋদ্ধ ছিল তাঁর ভাবনা, প্রতিক্রিয়ার প্রবলতার মুখে শাণিত ছিল তাঁর চিন্তা, স্বল্পায়ু জীবনের বিশাল সৃষ্টি সম্ভার। ব্যক্তিগত জীবনাচারে ধর্মান্ধতার কালিমা ও সামাজিক পশ্চাদপদতা সেই যুগেও তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। অবলীলায় তিনি ঔচিত্য ও সৌন্দর্যবোধের সহজাত কাব্যিক প্রেরণায় সময়ের চৌহদ্দিকে ছাড়িয়ে গেছেন সৃষ্টির বৈচিত্র্যে। গতিময়তা যেমন তাঁর কাব্যিক বৈশিষ্ট্য তেমনি দূরকে নিকট ও ব্রাত্য সাধারণকে আপন করে নেয়ার দুর্মর প্রচেষ্টা তাঁর সারাজীবনের কাব্যিক ও দার্শনিক অন্বিষ্ট। অর্থোডক্স চার্চের অযৌক্তিক নৈতিকতার রুদ্ধ পরিবেশের বদ্ধ হাওয়া থেকে মুক্তির লক্ষ্যে তাঁকে দেশান্তরে যেতে হয়েছে। কর্তৃত্ববাদী সামাজিক শক্তির পশ্চাদপদ অন্ধ দাপট সেই কৈশোর থেকেই অস্বীকার করেছেন শেলি সহজাত অনুসন্ধিৎসা ও বুদ্ধিবৃত্তিক জিজ্ঞাসার বশবর্তী হয়ে। ফলে বার বার আঘাত এসেছে সামগ্রিকভাবে রক্ষণশীল সামাজিক শক্তির অসহিষ্ণু আচরণের কারণে। মাত্র উনিশ বছর বয়সেই Necessity of Atheism শীর্ষক পুস্তিকা রচনা করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত হন। সে সময়ে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের প্রতি এতই আস্থাহীন হয়ে পড়েন যে ১৮১৬ সালে সুইজারল্যান্ড ভ্রমণের সময় গ্রীক ভাষায় তাঁর নাম পরিচয় লেখেন Shelly-Democrat, Philan thropist and Atheist এবং গন্তব্যের জায়গায় লেখেন To Hell। নাম উল্লেখ না করে সে সময়ের রাজকবি রবার্ট সাদে তাঁর vision of judgement নামক লেখায় শেলি ও বায়রনের রচনাকে Satanic school of poetry বলে উপহাস করেছেন। কিন্তু শেলির দ্রোহী কবি সত্তা কোন প্রতিকূলতার কাছে নতি স্বীকার করেননি। ইউরোপ কাঁপানো ১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লবের উন্মাতাল আবহে ১৭৯২ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যসন্ধানী, অন্যায়, অসত্য ও অসুন্দরের বিপরীতে ন্যায় ও সাম্যের পক্ষে উচ্চকিত কবি শেলি। ফরাসী বিপ্লবের সাম্য মৈত্রীর বাণীতে উজ্জীবিত এক অসাধারণ রাজনৈতিক বিশ্বাসে ও প্রতিজ্ঞায় তিনি বেড়ে উঠেন। কিন্তু মানবমুক্তির স্বপ্নে বিভোর শেলির স্বপ্নভঙ্গ হতে দেরি হয়নি ফরাসি বিপ্লবের অনাকাঙ্খিত ব্যর্থতায়। জেকোবিয়ানদের বিশ্বাসঘাতকতা, বিপ্লবের সন্তান নেপোলিয়নের সম্রাটের শিরস্ত্রাণ পরে মানবতা বিরোধী ভূমিকা, আর নিজ দেশ ইংল্যান্ডের রাজতন্ত্রের একচেটিয়া প্রভাব, সংগঠন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর রাষ্ট্রটির হস্তক্ষেপ বিপ্লবী আবেগে প্রদীপ্ত কবি শেলিকে প্রচলিত মতাদর্শ ও সমাজের বিরুদ্ধে দ্রোহী করে তুলে। রুদ্ধ আবেগের বিচ্ছুরিত সৃজনশীলতার অপরূপ ছন্দে দোলায়িত হয়ে ইংরেজি সাহিত্যকে তিনি এক নব জীবন দান করেন এবং তা মিল্টনের দ্রোহী ও বিপ্লবী পরম্পরাকে যেন আরো ঋদ্ধ করে। Queen Mab থেকে Triumph of life, ode to Liberty থেকে Revolt of Islam সর্বত্রই মানবতার অবমাননা, বিপ্লবের ব্যর্থতার স্মৃতিকাতরতা থেকে ইতিহাসের এক কল্যাণকামী নতুন নির্যাস ফুটিয়ে তোলার এক অসাধারণ সৃষ্টিশীল প্রয়াস তাঁর মধ্যে আমরা খুঁজে পাই। কিন্তু তাঁর অগ্রজ ওয়ার্ডসওয়ার্থের মত প্রথম জীবনের বিপ্লবী প্রত্যয় পরিত্যাগ করে, কালের সংকটকে পাশ কাটিয়ে অরণ্যের সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে সমাজ ও রাজনীতি বিচ্ছিন্ন কাব্যলক্ষীর পাদপদ্মে নিজেকে সঁপে দেননি বা কোলরিজের মতো ‘সাসপেনশন অফ ডিসবিলিফ’ এর এক Phantasmagoria’র জগতে হারিয়ে যাওয়া বা অনুতপ্ত বৃদ্ধ নাবিকের স্রষ্টার সৃষ্টিকে ভালবাসাকেই শ্রেষ্ঠ প্রার্থনা বলে উপলব্ধির নীতিবাক্য আউড়ে যুগধর্মের প্রভাবে অতিন্দ্রীয় শক্তির কাছে আত্মসমর্পণের মত আপোষকামিতা শেলির কাব্যধর্মে ও মননে অনুপস্থিত। রাজনৈতিক বিশ্বাসের সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে তাঁর সাহিত্যিক প্রতীতি। সেই প্রতীতিতে অনুভূতির গভীরতা আছে, কল্পনার মাধুর্য আছে, আর সেই কল্পলোকে মানবিক আর্তির কাব্যিক ঝংকার আছে।
সংস্কারবাদীদের অনৈতিক পথকে নীতিকাব্যের নামে মানবমুক্তির স্বতঃস্ফূর্ত আবেগকে তিনি কখনো খাটো করে দেখেননি। কীটসের ভাষায় এক ধরনের egotistical sublime বা আত্মশ্লাঘাপূর্ণ সম্ভ্রম ছিল তাঁর জীবন ও কাব্যের বৈশিষ্ট্য। এজন্য দেখি এক হতাশার যুগের মধ্যেও শেলির কবি প্রতিভার চূড়ান্ত বিকাশ ও পরিণতি। সংকট উত্তরণের সম্ভাবনাকে তিনি কখনো অগ্রাহ্য করেননি। এনলাইটেন্টমেন্ট ও ফরাসি বিপ্লব থেকে যে প্রেরণা তিনি পেয়েছিলেন তাতে বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় ঋদ্ধ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার স্বপ্নই শুধু দেখেননি, স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সাম্যের সমাজের, নিপীড়ন মুক্ত মানব সমাজের। ‘প্রমিথিয়ূস আনবাউন্ড’ তাঁর এ স্বপ্ন ও কল্পনার প্রতিচ্ছবি। জুপিটারের নিপীড়নের মধ্যে বন্দী প্রমিথিয়ূস সেই স্বপ্নতাড়িত হয়ে বলছেন, I wish no living thing to suffer। বস্তুত প্রমিথিয়ুসের বন্দী জীবনের যন্ত্রণা রূপকার্থে মূলত ফরাসী বিপ্লবোত্তর কল্যাণকামী কবি, সাহিত্যিক ও পরিবর্তনকামী সাধারণের বেদনা, হতাশা ও মানসিক কষ্টেরই প্রতিফলন। তেমনিভাবে দুই শতাব্দী পরে ঠিক একইভাবে ১৯৯০ পরবর্তী সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের বলতে গেলে মানবমুক্তির চিন্তা ও ভাবাদর্শের বিপর্যয় সমস্ত মানব জাতিকে হতাশার কালো আঁধারে নিমজ্জিত করেছে। ফলে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি জুপিটারের মত মানবতা বিরোধী অপরাধ করে যাচ্ছে একের পর এক। প্রমিথিয়ুসের মত আজকের সেই যন্ত্রণাদগ্ধ মানুষের বোবাকান্নার প্রতিধ্বনি শুনতে পাই আমরা শেলির লেখনীতে। রবীন্দ্রনাথের মত শেলিও মানুষের উপর বিশ্বাস হারানোর পাপ করেননি। দৃঢ়ভাবে বলছেন If winter comes, can spring be far behindIf winter comes, can spring be far behind?। তাঁর মৃত্যুর কিছুদিনের মধ্যেই ঊনবিংশ শতাব্দীর ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে জার্মানিতে, ফ্রান্সে, ইতালিতে বিপ্লবী জাগরণের গণতরঙ্গ প্রবাহিত হতে থাকে। ৫০ বছর পরে ১৮৭১ সালে তাঁর সাম্যের স্বপ্ন ‘প্যারি কমিউনে’ বাস্তব রূপ লাভ করে। সেই বিপ্লবী উত্থান চরম নিষ্ঠুরতার মধ্যে ইউরোপের সম্মিলিত বুর্জোয়াশ্রেণি ফরাসি বিপ্লবের মত গুঁড়িয়ে দিলেও আবার ৫০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে সংঘটিত রুশ বিপ্লব ইতিহাসের মোড় পরিবর্তন করে দেয়। ৭০ বছর ধরে পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে, ঔপনিবেশিক বিশ্ব ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়ে, মানুষের মনোজগতে বিপ্লবী রূপান্তর ঘটিয়ে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী ও পশ্চাদপদ শক্তির অব্যাহত বহুমুখী চক্রান্তে এবং নিজেদের বিভ্রান্তি ও প্রায়োগিক ভুলে সেই অগ্রযাত্রা থেমে যাবার পর ১৯৯০ পরবর্তী পৃথিবীতে শেলির কাব্যিক গুরুত্ব ও ভাবনার প্রাসঙ্গিকতা তীব্রভাবে সামনে এসে যায়।
মানব সমাজের সরল রৈখিক অগ্রগতিতে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন না। A Philosophical view of Reform নামক গদ্য রচনায় তাঁর পরিণত রাজনৈতিক চিন্তার পরিচয় পাই। চার্চ ও রাজতন্ত্রের দুঃশাসনের বিপরীতে কল্যাণকামী শাসন ব্যবস্থা ও ইংল্যান্ডে প্রকৃত অর্থেই এক সদর্থক রিফর্মেশন নিয়ে তিনি এতে আলোচনা করেছেন এবং তুলে ধরেছেন ফ্রান্স, জার্মানি এমনকি ভারতের বৃটিশ শাসনের অপকীর্তি। এখানে মনে পড়ে তাঁর বিখ্যাত উক্তি Poets and Philosophers are the unacknowledged legislators of the world। কবি এবং দার্শনিকরা যুগ মানসকে শাসন করবে, গড়ে তুলতে সাহায্য করবে নিপীড়নমুক্ত, সংস্কারমুক্ত এক মুক্ত সমাজ। কীটসের ভাষায় A true poet is a sage, a humanist, physician to all men, not a dreamer। শেলি সে অর্থে শুধু কবি ছিলেন না, তিনি ছিলেন দার্শনিক। শেলির দার্শনিক আত্মানুসন্ধান তাঁর কবি প্রতিভাকে শানিত করেছে, দ্রোহী করে তুলেছে। ঠিক সপ্তদশ শতকের রেষ্টেরেশন তথা রাজতন্ত্রের পুর্নবাসনের পরে অন্ধ, নিঃসঙ্গ স্বগৃহে অনেকটা অন্তরীণ মিল্টনের মতই ১৮১৫ পরবর্তী দূর্বৃত্তায়িত ফ্রান্সের অবস্থা ও একটি মহৎ স্বপ্নের নির্মম ব্যর্থতা শেলিকেও নিঃসঙ্গ ও বিষাদগ্রস্ত করে তুলে। তিনি দ্রোহী হয়ে উঠেন ইঙ্গো ফরাসী অভিজাত শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। গদ্যে কবিতায় সেই বিদ্রোহের সুর, সেই মনোবেদনা প্রকাশ পেয়েছে অত্যুৎকৃষ্ট কাব্যিক বয়ান ও নানা আঙ্গিকে।
Prometheus unbound, Queen Mab, The revolt of Islam এবং The Triumph of Life এই সব কাব্য নাটক ও দীর্ঘ কবিতায় আমরা তাঁর দ্রোহী সুর, দর্শন ও মানবিক স্বপ্নের যথার্থ অনুরণন শুনতে পাই। অন্যদিকে তাঁর অপূর্ব গীতি কবিতাগুলো ইংরেজি গীতি কবিতার ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে সবচেয়ে বেশি। এগুলোতে তাঁর সৌন্দর্যবোধ, কাব্যিক গতিময়তা ও আঙ্গিকের দক্ষতা যথার্থভাবে ফুটে উঠেছে। The skylark, “Ode to the west wind”, “Hymn to Intellectual Beauty”, “Ode to liberty”, The cloud, Episychidion, Adonais এসব হলো তাঁর বিখ্যাত কয়েকটি কবিতা। এছাড়াও The Mask of Anarchy তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যপাঠ্য রাজনৈতিক কবিতা যেখানে তাঁর রাজনৈতিক দৃষ্টি ও বিশ্ববীক্ষা উন্মোচিত হয়। Laon and cythna নামক দীর্ঘতম কবিতায় বিপ্লবী নারীবাদী Eythna’র জিজ্ঞাসা তো আজকের দিনে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক “Can man be free if woman be a slave?” সেই কবিতায় তিনি মানব চরিত্রের বৈশিষ্ট্য নিয়ে চমৎকারভাবে বলেছেন :
Never will peace and human nature meet
Till free and equal man and woman greet
এটা শুধু নারী পুরুষের বৈষম্য মুক্ত সমাজ নির্মাণের জন্য নয় প্রকৃত অর্থে মানব জাতির জন্যই সত্য।
কবি, বিপ্লবী ও মানবতাবাদী কর্মিষ্ঠ শেলির জীবন ও দর্শনের একটি সামগ্রিক রূপ আমরা এসব লেখা ও আলোচনায় পেতে পারি। তাঁর এসব সৃষ্টি কর্ম নিয়ে অন্যত্র আলোচনার চেষ্টা করেছি। তাঁর সৃষ্টির কর্মের প্রধানত অনালোচিত ও অনাবশ্যক বিবেচনায় প্রায়ই এড়িয়ে যাওয়া দ্রোহী ও মানবিক সত্তা ও প্রথা বিরোধী প্রবণতা অনুসন্ধিৎসাই এ আলোচনার উদ্দেশ্য। অসুন্দর ও ধর্মের নামে অধর্মের যে পর্দা বা তাঁর বারংবার ব্যবহৃত চিত্রকল্প veli মানব জীবনের সত্যের নির্মল মূর্তিকে ঢেকে রাখে তা তিনি ছিঁড়ে ফেলতে চেয়েছিলেন আজীবনের সাধনায়। এই মুক্তি পিপাসু কবি ধর্মতন্ত্র ও রাজতন্ত্রের নিগ্রহ কখনো মেনে নেননি। ১৮২২ সালে তাঁর মৃত্যুর দুইশ বছর পরেও সে নিগ্রহ আরো তীব্রভাবে আমাদের দেশসহ পৃথিবীর নানা দেশে দুর্বল সংখ্যালঘু মানুষের উপর চেপে বসেছে। এখানেই তিনি আমাদের কাছে চির প্রাসঙ্গিক ও চির প্রণম্য।
লেখক : প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট; অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক