আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এম.পি বলেন, বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘটনাবহুল এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের ঐক্য ধরে রেখে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ১৯৮১ সালের ১৭ মে সব হারিয়ে দেশে ফিরে দেশের মানুষকে যে কথা দিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেই কথা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, রায়ও কার্যকর হয়েছে। টানা তৃতীয় বারসহ চতুর্থ বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে থেকে ক্লান্তিহীন পরিশ্রম করে দেশকে সারা বিশ্বের সামনে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। আজকের দিন পর্যন্ত শেখ হাসিনার মতো সততা–মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতাসম্পন্ন কোনো নেতা এই দেশে তৈরি হয়নি। সততায়–দক্ষতায় এবং যোগ্যতায় শেখ হাসিনা বিশ্বের অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতাকে সমুন্নত রাখতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে আরো বেগবান করতে হবে।
গতকাল সকালে নগরীর প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিকাল সাড়ে ৪ টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানে ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান জাতির জনকের জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈরি আবহাওয়া, তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে এক নজর দেখার জন্য বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর এলাকাজুড়ে সেদিন ঢল নামে মানুষের।
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে লাখো জনতার সংবর্ধনায় বঙ্গবন্ধুকন্যা সেদিন বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’ তিনি আরও বলেছিলেন, আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা–মাতা, ভাই কামাল, জামাল, রাসেল সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। বাঙালি জাতির আর্থ–সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ.সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, মোহাম্মদ নুর খান, এনায়েত হোসেন নয়ন, বখতিয়ার সাইদ ইরান, আখতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ, মো. জাহাঙ্গীর সহ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।