জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১। ১৭ নভেম্বর বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারকের প্যানেল এই রায় দেন। শেখ হাসিনার পাশাপাশি একই মামলার আরেক আসামি ভারতে পলাতক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এই দুই আসামীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট জালিয়াতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা তিনটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২৭ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।প্লট দুর্নীতির আরেক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপের দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। যার নামে প্লট, সেই শেখ রেহানাকে দেওয়া হয়েছে সাত বছরের কারাদণ্ড। ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম ১ ডিসেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ২ জুলাই আদালত অবমাননার মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।











