আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্র–জনতার আন্দোলন দমাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তখনকার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চত্বরে পলকের ওই স্বীকারোক্তির কথা তুলে ধরে তাজুল সাংবাদিকদের বলেন, কোনো টাওয়ারে আগুন নয় বরং শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল। খবর বিডিনিউজের।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে দেশজুড়ে সংঘাত–সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৭ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে পরদিন রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। তখনকার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সে সময় বলেছিলেন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়নি, বন্ধ হয়ে গেছে। ডেটা সেন্টারে আগুন লাগার কারণে এটি হয়েছে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল বলেন, জুনাইদ আহমেদ পলক অনেক তথ্য আমাদের দিয়েছেন। তার নিজের কাছ থেকে যেমন পেয়েছি, পাশাপাশি অন্যান্য সোর্স থেকেও যেটা পেয়েছি– যে জুলাই–আগস্টে অভ্যুত্থান চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধের যে নাটক করা হয়েছিল সেটি কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। কোন টাওয়ারে আগুন লেগেছে, এসব কোনো ব্যাপারই ছিল না। সেখানে সে (পলক) স্বীকারোক্তি দিয়েছে–এ ইন্টারনেট তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ও এ মামলাগুলোর প্রধান আসামি শেখ হাসিনার নির্দেশে; সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশনা আসার পরে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়। সে গ্রুপে সরাসরি নির্দেশ দেওয়া হয়, ‘ইমেডিয়েটলি ইন্টারনেট শাটডাউন কর’, বলেন তাজুল।