আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরীর আন্দরকিল্লা চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল দুপুরের পর থেকে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, বাদ্য বাজনাসহ সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। বিকাল ৪টায় পুরো আন্দরকিল্লা চত্বর নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে।
সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ১৯৮১ সালের এই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের লুণ্ঠিত মূল্যবোধ ও চেতনা পুনরুদ্ধার হয়েছে, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভাত ও ভোটের অধিকার। জনগণ মুক্তি পেয়েছে সামরিক স্বৈরাচারের দুঃশাসন থেকে। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করেছিল, তাদের হাত থেকে দেশ রাহু মুক্ত হয়েছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও সরকার গঠনের লক্ষ্য পূরণে চট্টগ্রাম মহানগর আওতাধীন ৬টি সংসদীয় আসনে তিনি যাকেই নৌকার প্রতীক দেবেন তাকেই বিজয়ী করতে দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে যে অপশক্তিটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এবং দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে বিরামহীন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে তাদের মূল শিখণ্ডী হচ্ছে বিএনপি নামক তথাকথিত রাজনৈতিক সংগঠনটি। এই দলটির জন্ম হয়েছে হত্যা, ক্যু, মুক্তিযোদ্ধা হত্যা এবং সামরিক উর্দি পরে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করার পর উচ্ছিষ্ট বিলি–বণ্টনের মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের সমন্বয় সাধন করে একটি জগাখিচুড়ি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে মাত্র। এই দলটির মধ্যে ন্যূনতম দেশপ্রেম নেই।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, প্রকৌশলী বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, বখতেয়ার উদ্দীন খান, নেছার উদ্দীন আহমদ মঞ্জু, মো. হারুনুর রশিদ, সিদ্দিক আলম, স্বপন কুমার মজুমদার, আবু তৈয়ব সিদ্দিকী প্রমুখ।
সভার শুরুতে বিশেষ মোনাজাত করেন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমেদ। সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন হাজী মো. হোসেন, দিদারুল আলম চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, জোবাইরা নার্গিস খান, আবু তাহের, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, মো. শহিদুল আলম, জহর লাল হাজারী, পেয়ার মোহাম্মদ, সৈয়দ আমিনুল হক, জাফর আলম চৌধুরী, রোটারিয়ান ইলিয়াছ, হাজী বেলাল আহমেদ ও মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী। সমাবেশ শেষে বিশাল আনন্দ র্যালি বের হয়।