আদালতের বেঁধে দেওয়া এক মাস সময়ের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফেরানোর সব চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ পত্রিকা মারফত এইমাত্র জানলাম। এইমাত্র, রুমে ঢোকার ৫ মিনিট আগে আমার কাছে কাগজটা পৌঁছেছে। আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, এক মাস সময় দিয়েছেন কিন্তু আদালত; এই সময়ের মধ্যে আমরা তাকে ফেরত আনার চেষ্টা অবশ্যই, আমাদের জন্য যা যা করা প্রয়োজন সেটা করব। খবর বিডিনিউজের।
শেখ হাসিনার বর্তমান স্ট্যাটাস কি, এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, আমার মনে হয়, এই প্রশ্নটার জন্য এই উত্তরই যথেষ্ট। এক প্রশ্নের মধ্যে আমরা ঘোরপ্যাঁচ না করি। কেননা মাত্রই খবরটা এসেছে। আপনারা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও ডিটেইলস আসবে, তখন দেখতে পাবেন।
কোন পদ্ধতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত আনা হবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি এ নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। কী পদ্ধতিতে আনা হবে, পদ্ধতিটা তো গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে, কোর্ট বলেছে তাদেরকে অ্যারেস্ট করতে। অ্যারেস্টের ওয়ারেন্টটা তো আমার কাছে আসে নাই। গেছে নিশ্চয় পুলিশের কাছে। পুলিশ পারবে না, কারণ উনি দেশে নেই। তখন আমাদের সম্পৃক্ততার বিষয় আসবে। এটুকু আমার মনে হয় আজকের মত যথেষ্ট। কাজে এটা নিয়ে আপনারা আর যাই প্রশ্ন করেন না কেন, এর চেয়ে বেশি কিছু আমি বলতে পারব না।
শেখ হাসিনার অবস্থানের তথ্যের বিষয়ে এক প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, কোনো স্পেসিফিক তথ্য আসে নাই। তবে আমি যতটুকু আনঅফিসিয়ালি জানতে পেরেছি, যে উনি সম্ভবত দিল্লিতেই আছেন।
আওয়ামী লীগের অন্য নেতা বা সরকারি কর্মকর্তারা কে কোথায় আছে নির্দিষ্ট কোনো তালিকা আছে কি না বা করবেন কি না–এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, আমার এই তালিকাটা অনেকটা মিডিয়া থেকেই নেওয়া। এখানে যেটুকু আছে, আপনারা যেটুকু জানেন আমি সেটুকু জানি, অনেক ক্ষেত্রে হয়ত আপনারা বেশিও জানেন। এখন ৪০ জনের তালিকা বা যেটুকু দেওয়া হয়েছে, আমরা চেষ্টা করব, তাদের সবাইকে লোকেট করতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে, যখন আমাদের কাছে কাগজপত্র এসে পৌঁছবে।