শেখ হাসিনাকে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অভিনন্দন

| বুধবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের কোচেয়ার ও ট্রাস্টি মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস পাঠানো শুভেচ্ছা পত্রে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদ শুরু করায় তাকে শুভকামনা জানিয়েছেন। ‘আমি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সকলের সাথে যোগ দিয়েছি যে আমরা বাংলাদেশের সাথে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে কতটা মূল্যায়ন করি তা প্রকাশ করার জন্য’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এসডিজি এবং সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন অব্যাহত রাখার আশা করছি। খবর বাসসের।

মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বলেন, বাংলাদেশ প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনা গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক উদাহরণ হতে প্রস্তুত এবং আমরা দূরদর্শী ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগসহ আপনার আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যগুলোর জন্য চলমান সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল আর্থিক ইকোসিস্টেম বিকাশে এটুআই ও আইসিটির সাথে আমাদের ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং আমরা ২০৪১ সালে আপনার স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনে অবদান রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে সহযোগিতা করছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের ফাউন্ডেশন সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে শরিক হয়েছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে ধানের প্রজনন আধুনিকায়ন এবং উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে তারা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাথে কাজ করছে। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কোচেয়ার ও ট্রাস্টি পুষ্টি বিষয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সফলভাবে সম্পন্ন করা এবং জাতীয় খাদ্য ও নিরাপত্তা নীতি ২০২০২০৩০ পাস করায় শেখ হাসিনা সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, ফাউন্ডেশনের পুষ্টি দল বৃহৎ আকারের খাদ্য মজুদকরণের মাধ্যমে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি দূর করার দিকে মনোনিবেশ করছে এবং আমি আশা করি আমরা আপনার সরকারের সাথে আমাদের সহযোগিতা বাড়াতে পারব। এছাড়াও তিনি বলেন, তারা ডিপিএইচই এবং এটুআই এর সাথে বাংলাদেশে একটি স্যানিটেশন ডেটা কমান্ড সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সাথে সমঝোতা স্মারক এই সহযোগিতার পথ খোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আশা করি আমরা আমাদের সমস্ত উন্নয়ন অগ্রাধিকারকে সন্বিবেশিত করে আরও ব্যাপক একটি চুক্তির বিকাশ ঘটাতে পারি। মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও সুষম করার জন্য শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিরও প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রশাসনের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি ভ্যাকসিনের প্রবর্তন একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন এবং এই উদ্যোগের অন্যতম অংশীদার হতে পেরে ফাউন্ডেশন আনন্দিত। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার সূচনাকে অভিনন্দন জানিয়ে মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের ফোকাস কপ২৮এ যেমন, ফাউন্ডেশনও অভিযোজন অর্থায়ন জলবায়ু কর্ম বৃদ্ধির পক্ষে সুপারিশ করছে। আমি আশা করি আমরা এই প্রচেষ্টাগুলিতে সহযোগিতা করার উপায় খুঁজে বের করতে এবং বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু অভিযোজনের সুযোগগুলি অবারিত করতে পারব।

ফাউন্ডেশনের একটি নির্বাহী প্রতিনিধিদল এই বছর বাংলাদেশ সফর করবে বলে জানিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে তারা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন পরিচালনায় তাদের যৌথ প্রচেষ্টা এবং ভবিষ্যতের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে শেখ হাসিনার প্রশাসনের সিনিয়র সদস্যদের সাথে দেখা করতে পারবেন। এ প্রসংগে তিনি উল্লেখ করেন যে হরি মেনন, যিনি দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ফাউন্ডেশনের কাজের নেতৃত্বে রয়েছেন এবং জামাল খান, যিনি বাংলাদেশ সরকারের সাথে তাদের সরকারি সম্পর্কের নেতৃত্ব দেন, এই সফরের পরিকল্পনা করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসবেন।

মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস এই বলে শেষ করেন, আমি আমাদের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে এবং একসাথে আমাদের অভিন্ন লক্ষ্যগুলির দিকে এগিয়ে যেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাহাড়ি সন্ত্রাসীদের চাঁদা দাবি, থানচি সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা