শেখ হাসিনাকে ইরানের প্রেসিডেন্টের টেলিফোন

| মঙ্গলবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি। টেলিফোন আলাপে দুই নেতা কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে আলাপ করেন। বিভিন্ন বিষয়ে তারা প্রায় ২২ মিনিট কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি টেলিফোন আলাপ করেন। টেলিফোন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে ধন্যবাদ দেন। খবর বাংলানিউজের।

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সমপ্রসারণ ও সুসংহত করতে যোগাযোগ বাড়ানোয় ইরানের নতুন প্রশাসনের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং সেদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে রহমত ও শান্তিপূর্ণ রামাদানের মোবারকবাদ জানান এবং শুভ নওরোজের বিলম্বিত শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানানোয় ইরানের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী। সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের কুটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপনকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। এর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি একটি সফল কূটনৈতিক কৌশলের ক্ল্যাসিক উদাহরণ, এটি উপসাগরীয় অঞ্চল এবং এর বাইরেও বৃহত্তর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে। ইব্রাহিম রাইসির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে তেহরান পাঠানোর কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে অষ্টম ওআইসি সম্মেলন এবং ২০১২ সালে ১৬তম ন্যাম সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে তার তেহরান সফরের কথা স্মরণ করেন। ইরান ও বাংলাদেশের মধ্যেকার ইতিহাস, বিশ্বাস এবং সাংস্কৃতিক মিল থাকার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় অভিন্নতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। দুই দেশের ব্যবসাবাণিজ্য সমপ্রসারণের বিপুল সম্ভবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সত্যিকারের সম্ভবনার চেয়ে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ বহুগুণ কম। ব্যবসাবাণিজ্য সমপ্রসারণে উভয় পক্ষের আরও কার্যক্রম বাড়ানোর উচিত।

এক্ষেত্রে দুই দেশের ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি যৌথ বিজনেস কমিশন (জেবিসি) গঠন এবং যৌথ ইকোনোমিক কমিশনের নিয়মিত বৈঠকের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেখ হাসিনা বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে গুণগত মানের আমদানির জন্য বাংলাদেশ একটি উৎস হতে পারে।

তিনি বলেন, ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ বিশ্বমানের পোশাক/টেক্সটাইল পণ্য, চীনামাটির বাসন, ওষুধ, হিমায়িত মাছ ও সামুদ্রিক খাবার, চামড়াজাত পণ্য, পাট/কেনাফ সুতা, আইটি, হালকা প্রকৌশল, ছোট ও মাঝারি আকারের জাহাজ, কৃষি পণ্য এবং আরও অনেক কিছু রপ্তানি করে আসছে। বাংলাদেশ ইরানেও এসব পণ্য রফতানি করতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলাইলাতুল কদর : পাপে তাপে দগ্ধ মানুষের পরিত্রাণের সুযোগ
পরবর্তী নিবন্ধওয়াসার পানি সরবরাহে বিঘ্ন বিভিন্ন স্থানে রেশনিং