বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত শেখ কামাল অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা দল। চাঁদপুরে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে রাঙ্গামাটি এবং মৌলভীবাজার জেলা দলের বিপক্ষে দারুনভাবে জিতলেও শেষ ম্যাচে এসে আর কক্সবাজার জেলা দলের সাথে পেরে উঠেনি। ফলে বিদায় নিতে হয়েছে আঞ্চলিক পর্ব থেকে। এখনো কক্সবাজার জেলা দলের কাছে হারতে হয় চট্টগ্রামকে। এখনো আঞ্চলিক পর্ব পার হতে পারেনা চট্টগ্রাম। অথচ কত খেলাধুলাই না আয়োজন করছে চট্টগ্রাম জেলা দল। কত কোচিং, কত একাডেমি, কত ক্যাম্প, কত বাছাই আরো কত কিছু। অথচ দিন শেষে ফলাফল শূন্য। দলের মধ্যে শৃংখলা ছিলনা তেমন প্রশ্নও উঠেছে। অন্যান্য দলগুলো যেখানে কোচ এবং ম্যানেজারের দায়িত্বে ক্রিকেটারদের পাঠায় সেখানে চট্টগ্রাম জেলা দলের সাথে অভিভাবকদেরও একটি বহর থাকে। যারা ক্রিকেটারদের মনসংযোগে বিঘ্ন ঘটাতে ভূমিকা পালন করে। এবারেতো দেখা গেলা খেলোয়াড়ের মায়ের জন্মদিন পালন করেছে সবাই মিলে। প্রশ্ উঠেছে ক্রিকেটারদের অভিভাবকরা খেলোয়াড়দের নিয়ে জন্মদিন পালন করে কিভাবে। আরো মারাত্নক কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে বিভিন্ন সুত্র থেকে। আর তা হচ্ছে দলের খেলোয়াড়রা দলেল কোচের চাইতে তাদের একাডেমির কোচদের কথা শোনে বেশি।যার ফলে দলে শৃংখলা বলতে কিছু ছিল কিনা তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এমন অবস্থায় ভালো ফল আশা করাটা সত্যিই বোকামি। গতকাল চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কক্সবাজার জেলা দলের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে চট্টগ্রাম জেলা দল। ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার কারনে হারতে হলো ম্যাচটি।
সকালে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম জেলা দল শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে। কোন ব্যাটসম্যানই দাড়াতে পারেনি উইকেটে। দুইজন মাত্র ব্যাটসম্যান দুই অংকের ঘরে যেতে পেরেছে। কক্সবাজার জেলা দলের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এর সুবাধে মাত্র ৭৩ রানে অল আউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম জেলা দল। ৩০.৫ ওভার খেলতে পেরেছে চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা। দলের পক্ষে ২৮ রান করে তালহা জোবায়ের। ১০ রান করে সাদমান। কক্সবাজার জেলা দলের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছে তৌহিদুল নুর এবং নুরুল আজিম। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন টারজান মল্লিক এবং নাকিব। মাত্র ৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কক্সবাজার জেলা দল ৩০.১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ রান করে অপরাজিত থাকে সালমান। এছাড়া শহীদুজ্জামান ১৩, সুরিয়া কুমার ১০ এবং তৌহিদুল নুর করে ১০ রান। চট্টগ্রাম জেলা দলের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছে ওয়াকি উদ্দিন। একটি করে উইকেট নিয়েছে জুনায়েদ, আশরাফুল, সাদমান এবং রহমতউল্লাহ।