আমাদের প্রত্যেকের জীবনে শিক্ষার বা শেখার কোনো বিকল্প নেই। আর আমাদের জীবনটাই শিক্ষার বিশাল একটা জগৎ। যেখানে পৃথিবী হচ্ছে শিক্ষার পাঠশালা। মানুষ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মূলত শিক্ষাগ্রহণ করতে থাকে। শেখার কোনো বয়স নেই। আমরা মূলত শিখতে শিখতেই জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করে থাকি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা যেকোনো একটি বয়সে বা পর্যায়ে অবশ্যই শেষ হয়ে থাকে। কিন্তু জীবন নামক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কখনো শেষ হওয়ার নয়। একমাত্র মৃত্যুই মানুষকে শেখা থেকে চিরবিদায় দিয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে জ্ঞানী ও গুণীজনরা নিজেকে কখনোই পণ্ডিত ব্যক্তি মনে করে না। তারা সবসময় জ্ঞান আহরণেই বেশি আত্নতৃপ্তি পায়। প্রতিটি মানুষের মাঝেই শেখার আনন্দ জন্মগতভাবে অন্তর্নিহিত। সত্যিকার কোনো কিছু শিখতে পারার আনন্দের কোনো পরিসীমা নেই। যদিও শেখার পাশাপাশি আমাদের মাঝে কমবেশি অন্যকেও শেখানোতেই আমরা সচেষ্ট থাকি। আমাদের মধ্যে যদি শেখার প্রয়োজনীয়তা হৃদয়ে অনুধাবিত হয় তাহলে আমরা কখনো হারবো না। কেননা মানুষকে প্রতিনিয়তই শেখার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। চলমান জীবনের বিভিন্ন ভুল বিষয় থেকেও আমরা পরবর্তীতে এর থেকে শুধরিয়ে নিজেকে নতুনভাবে শেখার রাস্তা পেয়ে থাকি। একজন শিক্ষক যেমন সবসময় একদিকে শিক্ষক হয়ে থাকে অন্যদিকে শিক্ষকও অনুরুপ নিজেকে একজন ছাত্রের মতই পৃথিবী থেকে অনেক কিছু শেখার উপলক্ষ পেয়ে থাকে। জীবনবোধ আর সমাজবাস্তবতাকে জানার জন্য আমাদেরকে মূলত প্রতিনিয়ত নানানকিছু শিখতে হয়। মানুষের জীবন প্রতিনিয়তই পরিবর্তনশীল। আর এ পরিবর্তনশীলতার মাঝে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।