শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে রেলওয়ের সংরক্ষিত কন্ট্রোল অফিসে (রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পাহাড়তলী বিভাগীয় কন্ট্রোল) আড্ডা আর নির্বাচনী সভা করার অপরাধে চিফ ট্রেন কন্ট্রোলার (সিটিএনএল) মো. শাহিদ হোসেন খোকনকে তাৎক্ষণিক লালমনির হাটে বদলি করা হয়েছে।
সিটিএনএল মো. শাহিদ হোসেন খোকন রেলওয়ে মেনস্ স্টোরস নির্বাচনে পরিচালক পদে নির্বাচন করছেন। গত ১৫ মে বিকাল ৩টায় ২০–২৫ জন বহিরাগত নিয়ে পাহাড়তলী কন্ট্রোলরুমে প্রধান ট্রেন কন্ট্রোলার শাহিদ হোসেন খোকন মিটিং করেন। অথচ এই কন্ট্রোল অফিস থেকেই পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের সকল ট্রেন পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়েতে এটি স্পর্শকাতর একটি স্থান হিসেবে বিবেচিত।
কন্ট্রোল অফিসে নির্বাচনী সভা করার কারণে হইহুল্লোড়ের মধ্যে অফিসের কাজে বিঘ্ন ঘটায় সহকর্মীরা অতিষ্ঠ হয়ে কৌশলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে গতকাল তাকে রেল ভবন থেকে বদলি করা হয়।
গতকাল বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে তাকে শান্তিমূলত এই বদলি করা হয়। রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের পার্সোনেল শাখার উপ পরিচালক মো. আবরার হোসেন স্বাক্ষরিত বদলির দপ্তরাদেশে মো. শাহিদ হোসেন খোকনকে আগামী ১৯ মে’র মধ্যে লালমনিরহাটের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তার অধীনস্থ লালমনিরহাট কন্ট্রোল অফিসে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বদলির এই দপ্তরাদেশে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারিকৃত। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। অন্যথায় ১৯ মে থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আগামী ২১ মে বাংলাদেশ রেলওয়ে মেনস স্টোরস নির্বাচন। বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই বহিরাগতদের নিয়ে কন্ট্রোল অফিসের মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকায় অফিসের নিয়ম–শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে শাহিদ মিটিং করে আসছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
ওই সভায় আরেক পরিচালক প্রার্থী বিভাগীয় প্রকৌশল অফিসের হিসাবরক্ষক মাসুদুর রহমান, হাটহাজারী স্টেশনমাস্টার এসএম ফখরুল আলমও উপস্থিত ছিলেন। এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, পাহাড়তলী কন্ট্রোলরুমের প্রধান ট্রেন কন্ট্রোলার শাহিদ হোসেন খোকনকে লালমনিরহাটে বদলি করা হয়েছে। আজকে (গতকাল) রেল ভবন থেকে তাকে বদলি করা হয়।
পাহাড়তলী বিভাগীয় কন্ট্রোল অফিসটি সরকারি কেপিআইভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সংরক্ষিত এই অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা–কর্মচারী ছাড়া বাইরের কোনো লোক প্রবেশের সুযোগ নেই।
এর আগেও এই ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য শাহিদ হোসেনকে একাধিকবার কারণ দর্শানো হলেও তা আমলে নেননি তিনি। অভিযোগ রয়েছে, সিআরবিতে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার প্রশ্রয়ে কর্মস্থলে বেপরোয়া হয়ে উঠেন শাহিদ।