শুরু হলো পবিত্র রমজান

মসজিদে মসজিদে তারাবির নামাজ আদায়

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১২ মার্চ, ২০২৪ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজার বিধান দেওয়া হলো, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিকে রোজার বিধান দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়া (খোদাভীতি) অবলম্বন করতে পারো।’ (সূরা বাকারা : ১৮৩)

পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। রমজান হচ্ছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার মাস রমজান। সংযমের শিক্ষা দেয় রমজান। পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে এ মাসে। ইবাদতের বসন্তকাল হচ্ছে রমজান মাস। মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও তাকওয়া অর্জনের অনন্য সুযোগ এনে দেয় রমজান। তাই এ মাসটি মুসলিম উম্মাহ’র জন্য বহু আকাঙ্ক্ষিত মাস।

ইসলামের মূল পাঁচ ভিত্তির অন্যতম হল মাহে রমজানের রোযা রাখা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দেশের আকাশে হিজরি ১৪৪৫ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ মঙ্গলবার প্রথম রোজা পালন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এর আগে গত রাতে এশার নামাজের পর পবিত্র তারাবি নামাজ আদায় এবং ভোর রাতে সেহেরি খেয়েছেন তারা। অর্থাৎ সূর্যোদয়ের আগে থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকবেন রোযাদাররা। সূর্য ডোবার সময় ইফতার করবেন তারা।

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল পৃথক বাণী প্রদান করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারি জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন জানান, গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ফরিদুল হক খান আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া আগামী ৬ এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে বলেও জানান।

পবিত্র রমজান মাসের অন্যতম আবশ্যিক বিধান হচ্ছে তারাবি নামাজ। অধিকাংশ মসজিদে আদায় করা হচ্ছে খতমে তারাবি। গতবারে ন্যায় এবারও পবিত্র রমজান মাসে দেশের সকল মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করে খতম তারাবি পড়ানোর জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনে পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। গত ৮ মার্চ এ আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশের সকল মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে প্রথম ৬দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং পরের ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা কোরআন খতমের জন্য দেশের সকল মসজিদের সম্মানিত খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট বিনীত অনুরোধ জানানো হয়।

এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারি জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন বলেন, পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সকল মসজিদে খতমে তারাবিহ নামাজে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তেলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে করে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এই অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। পবিত্র কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তাঁরা বঞ্চিত হন। তাই একই পদ্ধতি অনুসরণ করলে রমজানে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসলিমদের কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাহে রমজানের সওগাত
পরবর্তী নিবন্ধপরীক্ষার হলে উত্তরপত্র না দেখিয়ে মারধরের শিকার কিশোর