শুভ বড়দিন আজ। দিবসটি ঘিরে আজ আনন্দ–হাসি–গানে প্রাণ মিলবে প্রাণে এবং গির্জায় গির্জায় হবে প্রার্থনা। মানবতার কল্যাণে যিশু খ্রিস্টের শান্তির বাণী ছড়িয়ে যাবে অন্তরে অন্তরে। এছাড়া ক্রিসমাস ট্রি আর সান্তাক্লজের উপহারে মেতে উঠবে শিশুরা। ইত্যেমধ্যে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে দিনটি উপলক্ষে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
দুই হাজার বছর আগে এই শুভ দিনেই বেথলেহেমের এক গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির কোল আলো করে আসেন যিশু খ্রিস্ট। খ্রিস্ট ধর্মীয় বিশ্বাস মতে, মানবজাতিকে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে যিশুর জন্ম হয়। তাই তার জন্মদিনটিকে ধর্মীয় নানা আচার ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেন তারা। এটি তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বড়দিন উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ লেখা ও নিবন্ধ প্রকাশ করবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়া দিনটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বড়দিন উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশপ্রেম ও মানবতার মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধর্ম–বর্ণ–সমপ্রদায় নির্বিশেষে সকলের জন্য একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষ্যে এ ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আবহমানকাল ধরে এদেশের মানুষ ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি ও আচার–অনুষ্ঠানকে সম্মান করে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রেখে চলেছে। যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন আমাদের এ সমপ্রীতির বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে–এমনটাই প্রত্যাশা করি। তিনি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ সকলের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন। বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বড়দিন উপলক্ষ্যে নগরীর গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে রঙিন বাতিতে। সকালে সেখানে বিশেষ প্রার্থনা দিয়ে দিনের শুরু হবে আজ। এছাড়া নানা আয়োজন করেছেন যিশুভক্তরা। ঘরে ঘরে জ্বালানো হয়েছে রঙিন আলো। সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। নগরীর তারকা হোটেলগুলো প্রতীকী গোশালা ও ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে সাজানো হয়েছে।












