চট্টগ্রামের ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্বের সাথে শ্রম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য ড. মাহফুজুল হক, তপন দত্ত, এ এন এম সাইফ উদ্দিন, অধ্যাপক জাকির হোসেন, রাজেকুজ্জামান রতন, সাকিল আকতার চৌধুরী, তাসলিমা আকতার, জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেনার টার্মিনালসমূহ বিদেশিদের হাতে ইজারা দেওয়ার যে প্রক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে শ্রমিক নেতবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেনার টার্মিনালসমূহ বিদেশিদের হাতে ইজারা দেওয়া হলে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে পড়ে যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করা হয়।
সভায় বলা হয়, বিভিন্ন সেক্টরে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োজিত শ্রমিকেরা নুন্যতম শ্রম অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ বন্ধের আহ্বান জানান। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ইপিজেডে শ্রমিকেরা ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ শ্রম আইন থাকা সত্ত্বেও ইপিজেডের শ্রমিকদের জন্য শ্রম আইন প্রণয়ন করে শ্রমিকদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে। তারা দেশের সকল শ্রমিকদের একই আইনের অধীনে পরিচালনা করা উচিত বলে অভিমত জানান। সভায় বলা হয় চা বাগান শ্রমিকদের নিজস্ব কোন ভূমি নাই–যা খুবই অমানবিক। এতে শ্রমিকের সন্তানেরা সরকারী চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বর্তমানে দেশে পাসপোর্ট পেতে হলে নিজস্ব জায়গার দলিল দাখিল করার শর্ত নিযুক্ত থাকায় চা শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা পাসপোর্ট করতে পারে না। চা শ্রমিকেরা সরকারী চাকরিতে তাদের সন্তানদের সুযোগ থাকার দাবি জানান হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।