আগ্রাবাদ হোটেলে এক কাপ চা ৫০০ টাকা, রেডিসন ব্লু অন্যান্য রিচ হোটেলের কথা বাদ দিলাম। আর সাধারণ মানের হোটেলগুলোতে এককাপ চা ২০ টাকা। টং এর দোকানে ১০ টাকা। আমার ঘরে প্রতিদিন ২০ কাপের মতো চা বানাই, সারাদেশে কোটি কোটি মানুষ সকালবেলা চা না খেলে শরীর চাঙ্গা হয়না। হাজার কোটি টাকা মুনাফা লাভের ব্যবসা হলে শ্রমিকরা কেন তার ন্যায্য মজুরি পাবে না?
ব্রিটিশরাই বাঙালিদের চা খাওয়ানো শিখিয়েছিল, আর সাথে এটাও শিখিয়ে দিয়ে গেছে কিভাবে শ্রমিকদেরকে পিষে মেরে তাদের ঘাম থেকে চায়ের রস বের করতে হয়। তাই বলে সহ্যের একটা সীমা থাকে, যে দেশে এক কেজি ভালো মানের চাল কিনতে হলে ৬০ টাকা লাগে, একটা ডিম কিনতে ১২ টাকা সেদেশে কোনোভাবেই মজুরি ১৫০ টাকা মানা হবে না।
এতদিন আমরা চা খেয়ে শীত ঘুমে ছিলাম, সিলেটের বিভিন্ন চা বাগানে ঘুরে ঘুরে নানা রঙ্গিন ছবি তুলে ভার্চুয়াল জগতে ভরিয়ে ফেলছি, অনেক সময় চা শ্রমিকদের সাথে সেলফি তুলে নিজেকে একটা মহান ভাব এনে ছবি পোস্ট করতাম। আমরা কি কখনো ভেবেছি, শ্রমিকদের দুঃখ দুর্দশার কথা! আমরা কি কখনও তাদের চাপা কান্না শুনেছি! কিভাবে বাস করে একটা খুপরি ঘরে, প্রতিদিন তাদের অনাহারে জীবনের কথা! শুনিনি তো! তাই এখন তারা প্রতিবাদী, তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তারা রাস্তায় নেমেছে সামান্য মজুরি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। সকালবেলা আমরা যারা আয়েশ করে চা খাই, সকলের উচিত চা শ্রমিকদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করা। একটি কুড়ি দুটি পাতার মধ্যে যারা বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে তাদের ন্যূনতম মজুরি ৩০০ টাকা হোক।












