মানুষের প্রকৃত সৌন্দর্য কীসে? অর্থকড়ি ধনসম্পদের মানদণ্ডে নাকি ব্যক্তিত্ব, রুচি, সংস্কৃতবোধ আর মনুষ্যত্বের শিক্ষা ও বিশুদ্ধ মানবিকতার চর্চায়? কারো মতে টাকাই সব! কারণটা নাকি ‘টাকাকড়ি মধুর চেয়েও মধুর’ এটাও জোর গলায় বলছেন অনেকেই! আসলেই যেন তাই! যে নিজ জীবনে অর্থকষ্ট দেখেছে, দেখেছে চারিদিকে দারিদ্র্যের হাহুতাশ, তার কাছে টাকার গুরুত্ব অপরিসীম…!
আবার যে মানুষ ভালোবাসা, মানবিকতা, মনুষ্যত্ব এসবের অভাবহেতু জগতটা ফাঁকা বোধ করে, তার কাছে টাকা হাতের ময়লা আর মনুষ্যত্ব, মানবিকতা আর ভালোবাসা মাথার মুকুটতুল্য এবং শিরোধার্য এক অমূল্য ধন! জগতটা একেক জনের কাছে ভিন্ন ভিন্ন রূপে আবির্ভূত হয়! আমরা যেভাবে যে চোখে জগতটাকে দেখি জগতের ভালোমন্দের স্বরূপটাও তেমনরূপেই ধরা দেয় আমাদের কাছে। যদি আমরা শুধু নিজের জন্য বাঁচি তাহলে স্বার্থপর এক অনুভূতি মননে ধারণ করে জীবনটাকে পরিচালিত করতে থাকবো! আবার যখন অন্যের জন্যও বাঁচি বা পরোপকারী হই, তখন আমরা অপরের সুখ–দুঃখেও সামিল হই। সুখের মাত্রাটাও সেই মুহূর্তে ভিন্ন আঙ্গিকের এক মাহেন্দ্রক্ষণ হয়ে ধরা দে।