শুদ্ধ হও, আপন আলোয়

টিআইসিতে ৫ তরুণ শিল্পীর অনবদ্য আবৃত্তিসন্ধ্যা

| রবিবার , ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, রজনীকান্ত সেন, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, গোলাম মুস্তাফা, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। না, এখানেই শেষ নয়। তালিকাটা আরও দীর্ঘ। গতকালের সন্ধ্যাটা যেন সত্যিই কবিতাময় হয়ে উঠেছিল। নগরের থিয়েটার ইন্সটিটিউট গ্যালারি মিলনায়তনে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের ৫ জন তরুণ শিল্পী দর্শককে নিয়ে গেলেন ভালো লাগার অন্য স্তরে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ‘শুদ্ধ হও, আপন আলোয়’ শিরোনামে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানের ১৬তম পর্বে আবৃত্তি করেন নির্বাচিত শিল্পীরা। আয়োজনে অংশ নেন তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল আবৃত্তিশিল্পী শারমিন মুস্তারী নাজু, জুয়েনা আফসানা, রাজেশ্বরী চৌধুরী, নিলয় পাল এবং পায়েল বিশ্বাস। তারুণ্যের উচ্ছ্বাস সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন আবৃত্তিশিল্পী অঞ্চল চৌধুরী। আবৃত্তিশিল্পী কারিশমা কবির ঐশীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রাবণী দাশগুপ্তা। উদ্বোধকের বক্তব্যে অঞ্চল চৌধুরী বলেন, দেশের তরুণদের মধ্যে বাচিক শিল্প বা আবৃত্তি চর্চার আগ্রহ বাড়ছে। যা শিল্পের এ চর্চাকে আরো এগিয়ে নিয়ে আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। আমার বিশ্বাস তরুণরা শুদ্ধ শিল্পের চর্চার মাধ্যমে শিল্পের প্রতি ও দেশের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ ও ভালোবাসা জাগ্রত করবে। আয়োজনের শুরুতে একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী পায়েল বিশ্বাস। তিনি আবৃত্তি করেন আল মাহমুদের ‘কবিতা এমন’, আর্যতীর্থের ‘বিকর্ণ’, মৃন্ময়ী সাহার ‘সহজ নয়’, জয় গোস্বামীর ‘মেঘ বলতে আপত্তি কি’, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রাস্তা কারো একার না’, কাজী নজরুল ইসলামের ‘খোকার গপ্পো বলা’। এরপর মঞ্চে আসেন আবৃত্তিশিল্পী নিলয় পাল। তিনি পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘লুকোচুরি’, নির্মলেন্দু গুণের ‘আমার জলে টলমল করে আখি’, রজনীকান্ত সেনের ‘পরিণয়মঙ্গল’, আল মাহমুদের ‘বিপাশার চোখ’, গোলাম মুস্তাফার ‘জীবন বিনিময়’। এরপর আবৃত্তিশিল্পী শারমিন মুস্তারী নাজু, জুয়েনা আফসানা ও রাজেশ্বরী চৌধুরী একে একে বুদ্ধদেব বসুর ‘চিল্কায় সকাল’, সুদীপ নীলের ‘মেঘ বৃষ্টির গল্প’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কৃপণ’, আবিদ আনোয়ারের ‘তবলা আবিষ্কার’, পারভীন ইসলামের ‘মরণমায়া’, সূর্যতনয় অধীকারীর ‘মিস্ক্যারিজ’, কাজী নজরুল ইসলামের ‘গানের আড়াল’, নির্মল কুমার রায়ের ‘বাবা’, সুবোধ সরকারের ‘লক্ষ্মী’, অংশুমান করের ‘অস্ত্র’, সুকুমার রায়ের ‘জীবনে হিসাব’সহ বেশ কিছু কবিতা আবৃত্তি করে দর্শকশ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। অনুষ্ঠানটি নির্দেশনা দিয়েছেন আবৃত্তিশিল্পী সেজুতি দে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএনসিএল টি-টোয়েন্টি শুরু হচ্ছে আজ
পরবর্তী নিবন্ধকারফিউ উঠল, স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে নেপাল