শুটকির পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন রাখলে রপ্তানি সম্ভব

চেম্বারের সেমিনারে বক্তারা

| রবিবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২১ at ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ

দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) উদ্যোগে ‘নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর শুটকি প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি ও শিল্পস্থাপনে সহায়তাকরণ’ শীর্ষক সেমিনার গতকাল শনিবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখরের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। বক্তব্য রাখেন চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী,অঞ্জন শেখর দাশ, মো. রকিবুর রহমান, দোকান মালিক সমিতি জেলা সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান, জুনিয়র চেম্বার সভাপতি মো. টিপু সুলতান শিকদার, মো. আবদুল হাই, সৈয়দ মুহাম্মদ শোয়েব হাসান, শ্যামল চৌধুরী, মোহাম্মদ কলিম উদ্দিন, শেখ মোকাম্মেল হক চৌধুরী, ফারুক উদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইটিটিআইর অফিসার ইনচার্জ এন্ড প্রজেক্ট ডাইরেক্টর রেজাউল করিম। উপস্থিত ছিলেন ড. মোহাম্মদ মোস্তফা, ড. মো. রকিবুল হাসান, এস. এম. রশিদুল ইসলাম, মিশু আচার্য্য প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বিসিএসআইআর’র মতো এ ধরনের বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উদ্ভাবিত জনপ্রিয় খাদ্য শুটকি প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সাগর উপকূলবর্তী দেশসমূহে শুটকি অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার। আমাদের দেশে প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতির সমস্যার কারণে এ খাদ্য বিষয়ে ভোক্তাদের আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। শুটকি প্রক্রিয়ার ত্রুটির কারণে বিশেষ করে বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলে এ মাছের স্বাদ হারিয়ে যাচ্ছে এবং আমদানির পরিমাণ অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। পক্ষান্তরে শুটকির পুষ্টিগুণ ও স্বাদ অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব হলে স্থানীয় চাহিদা মেটানো ও বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে এই শিল্প স্থাপনে রোডম্যাপ তৈরির আহবান জানান। বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ বলেন, বিজ্ঞান গবেষণার মাধ্যমে প্রযুক্তি উদ্ভাবনপূর্বক নতুন নতুন পণ্য তৈরিতে সহায়তা করা এবং জনসেবায় তা নিয়োজিত করা বিসিএসআইআর’র মূল কাজ। এরই ধারাবাহিকতায় শুটকি উৎপাদনে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ড্রায়ার উদ্ভাবন করা হয়েছে। আমাদের দেশে শুষ্ক মৌসুমে প্রাকৃতিক উপায়ে শুটকি প্রক্রিয়াজাত করা হলেও বর্ষা মৌসুমে অনেক মাছ নষ্ট হয়ে যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শুটকি যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তাই দেশীয় চাহিদাপূরণ ও আমদানির সুযোগ সৃষ্টিতে পুষ্টিগুণসম্পন্ন কেমিক্যালমুক্ত শুটকি উৎপাদনে বিসিএসআইআর এ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তিনি এ শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন বলে মন্তব্য করেন এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সেমিনারে বক্তারা এ শিল্প স্থাপনে সরকারি অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজিকরণ, রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়ক নীতিমালা গ্রহণ, অর্থায়ন সুবিধা নিশ্চিত করা, বিদ্যুতের পাশাপাশি ডুয়েল ফুয়েল সিস্টেম বিবেচনা করা এবং শুটকির সেল্ফ লাইফ দীর্ঘায়িত করার উপর গুরত্বারোপ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় শারীরিক প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার প্রদান
পরবর্তী নিবন্ধক্যাবের বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত