শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জঙ্গিসহ দুর্ধর্ষ আসামি ছাড়া গণহারে ডান্ডাবেড়ি না পরানোর আদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে আদালতের আদেশে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
দেশের সব কারাগারে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধের আদেশ চেয়ে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ আসে। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। খবর বিডিনিউজের।
গত ১৫ জানুয়ারি প্যারোলে মুক্তি পাওয়া ছাত্রদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বাবার জানাজায় নেওয়ার বিষয়টি হাই কোর্টের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল। সেদিন আদালত এ বিষয়ে রিট আবেদন করার পরামর্শ দেয়। পরদিন যে রিট আবেদন করা হয়, সেখানে দেশের সব কারাগারে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধের আদেশ চাওয়া হয়। ডান্ডাবেড়ি পায়ে বাবার জানাজায় ছাত্রদল নেতা–এ রকম শিরোনামে গত ১৪ জানুয়ারি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, মো. নাজমুল মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। ১৩ জানুয়ারি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি বাবার জানাজায় অংশ নেন। সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে নির্ধারিত জানাজার আগেই আয়োজন করা হয় বিশেষ জানাজার।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে ওই জানাজার নামাজের সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও খোলা হয়নি ডান্ডাবেড়ি। জানাজা শেষে তাকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে পটুয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ এস এম এরসাদুল ইসলাম মৃধার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।