বাংলা পঞ্জিকা মতে আজ ৩০ মাঘ শীতের শেষ দিন। কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে আসা এবারের শীতে চট্টগ্রাম মহানগরীতে দেখা মেলেনি শৈত্যপ্রবাহেরও। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে ষড়ঋতুর দেশে শীতের এ হাল বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
তারা বলছেন, এবার সীতাকুণ্ড ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় শৈত্যপ্রবাহ দেখা গেলেও মহানগরীতে দেখা যায়নি। এ মৌসুমে আর শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনাও নেই। তবে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আভাস রয়েছে। পাশাপাশি দিনের বেলায় গরমের প্রভাবও বাড়বে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার স্থানীয় পূর্বাভাসে জানায়, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সাথে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকা এবং তদসংলগ্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা বিরাজ করতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, এখন দিনের বেলা তাপমাত্রা বাড়বে এবং শেষ রাতে তাপমাত্রা বেশ কমবে। এতে দিনে পুরোপুরি গরমের আবহ সৃষ্টি হবে এবং শেষ রাতে শীত পড়বে। তিনি বলেন, শৈত্যপ্রবাহ বলতে যা বুঝায় তা এবছর আর চট্টগ্রামে দেখা যাবে না। এবার চট্টগ্রামে শৈত্যপ্রবাহ হয়নি। সীতাকুণ্ড পর্যন্ত কদিন এসেছিল। এ আবহাওয়াবিদ বলেন, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। খুব সম্ভবত বুধ কিংবা বৃহস্পতিবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে।