বেশ কিছু দিন ধরে সন্ধ্যার পর হতে হিমেল হাওয়ায় শীত অনুভূত হওয়া শুরু করেছে। আমাদের দেশে এ শীত সাধারণত ২-৩ মাস স্থায়ী হয়ে থাকে। এ সময়ে আমাদের দেশের গরীব-দুঃখী- অসহায় মানুষের দুর্ভোগও বাড়ে। কারণ তখন এসব মানুষের খাবারের চেয়েও শীত নিবারণ করা বেশি জরুরি হয়ে পড়ে। এছাড়া ঋতু পরিবর্তনের কারণে এ সময়ে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের মাঝে জ্বর-শ্বাসকষ্ট-সর্দি-কোল্ড ডায়েরিয়াসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগও দেখা দেয়। বিশেষ করে ফুটপাত বা খোলা আকাশের নীচে বসবাসকারীদের শীতকালে কষ্ট বর্ণনা করার মতো নয়। অনেক সময় শীতের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার খবরও আমাদেরকে ব্যথিত-শোকাহত করে।
আমি মনে করি অন্য বছরের তুলনায় এবারের শীতে ভয়াবহ ভিন্নতা রয়েছে। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে শীতকালে বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ভাইরাস করোনার প্রাদু্র্ভাব বাড়বে এবং তাঁদের সে ভাষ্য ইতোমধ্যে সত্যে পরিণত হওয়া শুরু হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, আমাদের দেশে মানবদরদী অনেক মানুষ কর্তৃক শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতের কাপড়-কম্বল ইত্যাদি বিতরণের ফলে এদের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়। হাড় কাপানো শৈত্যপ্রবাহের কবল থেকে অসহায়-গরীব মানুষদের রক্ষায় সাহায্য-সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা প্রত্যেক সামর্থবানের নৈতিক দায়িত্ব, যা প্রত্যেক ধর্মে স্বীকৃত।