হেমন্তের দিনগুলো শেষ হতে আরো প্রায় একমাস সময় আছে। কিন্তু মনে হচ্ছে শীতবুড়ি এসে প্রকৃতিতে হাজির হলো। কুয়াশা নির্জন বন–মাঠ আর নদীর কূলজুড়ে ছাউনি ফেলছে। প্রিয় ঋতু শীতকাল নিয়ে বহু কবি লিখেছেন ছড়া, কবিতা, গল্প, উপন্যাস। সকলেই জানেন, এ ঋতু পৌষ ও মাঘ মাস জুড়ে থাকে। ঋতুটা হেমন্তের সোনালি ডানায় ভর করে আসে। তখন চারদিকে কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে। হিমেল বাতাসে কাঁপতে থাকে শীতার্ত মানুষ। খেজুর গাছে ঝুলতে থাকে রসের ভাঁড়। গ্রামাঞ্চলে দেখা যায় রসের ভাঁড়ে মৌমাছিদের নৃত্য আর ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দুর নয়নাভিরাম দৃশ্য। রূপবৈচিত্রে এই ঋতু ফুল–ফসলে সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। সূর্যের আলোয় সবুজ মাঠগুলোকে মনে হয় কে যেন মুক্তার দানা ছড়িয়ে রাখে। সেই দানাগুলো থেকে রামধনুর সাত রঙের আভা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ দৃশ্য দেখলে পরাণ জুড়িয়ে যায়। প্রকৃতিপ্রেমীদের চোখ জুড়াতে জুড়ি নেই সরিষা ফুলের। এই ফুল যেমন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে দেয় ভিন্ন মাত্রা, ঠিক কৃষকের মনে জাগায় স্বপ্ন। এ ছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টমেটো, লাউ, মুলা, কুমড়া, লালশাক, পালংশাক, বেগুন, শসা, মিষ্টিকুমড়ার খেতগুলো দেখলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। এসব হাটবাজার থেকে লোকজনরা ব্যাগভর্তি করে শীতের সবজি নিয়ে বাসায় ফেরেন। এত সব পুষ্টিকর শাকসবজির পসরা অন্য কোনো ঋতুতে দেখা যায়!