শীতের তীব্রতায় বাড়ল লেপ তোশকের চাহিদা

বিকল্পেও ঝুঁকছে অনেকে

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:২১ পূর্বাহ্ণ

শীত মৌসুম আসলেই কদর বাড়ে লেপ তোশকের। গত কয়েকদিন ধরে নগরীতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তাই উষ্ণতার খোঁজে নগরবাসী ভিড় করছেন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। লেপ তোশকের কারখানাতে এখন কারিগরদের দম ফেলার ফুসরত নেই। শীতের মাত্রা বাড়ার পর থেকে অনেকে পুরনো লেপ তোশক নতুন করে মেরামত করতে আসছেন বলে জানান কারখানার কারিগররা।

লেপ তোশকের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লেপের আকার অনুযায়ী বর্তমানে মজুরি পড়ছে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা। সে হিসেবে ৪ হাত বাই ৫ হাতের লেপের দাম পড়ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা, সিঙ্গেল ৩ হাত বাই ৫ হাত লেপ পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। সিঙ্গেল তৈরি তোশক সোয়া দুই হাত বাই সাড়ে ৪ হাতের দাম ৯০০ টাকা। ৪ হাত বাই ৫ হাত তৈরি তোশকের দাম ২ হাজার টাকা।

গতকাল বিকেলে নগরীর লালদীঘি পুরাতন গির্জা এলাকার শফিকুর রহমান এন্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী মাইনুদ্দিন হাসান দৈনিক আজাদীকে বলেন, শীতের সময় তোশকের তেমন চাহিদা থাকে না। কিন্তু লেপের চাহিদা আছে। তবে তুলনামূলকভাবে দাম বেশি হওয়ায় লেপের বিকল্প ফাইভারের কম্পোর্টার দিকে ঝুঁকছে অনেকে। এসব কম্পোর্টার মূলত পলয়েস্টোর কাপড় ও তুলার সংমিশ্রণে তৈরি হয়ে থাকে। এছাড়া কোরিয়া ও থাইওয়ান থেকে আসা ব্যবহৃত পুরনো কম্বলের কাছেও বাজার হারাচ্ছে লেপ।

নগরীর জহুর হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী ইলিয়াস উদ্দিন বলেন, লেপ তৈরিতে খরচ বেড়েছে। সাধারণত আমরা রেডিমেড লেপ তোশক খুব বেশি করি না। প্রায় সব অর্ডার নিয়ে করি। তবে বর্তমানে শিমুল তুলার দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ তোশক তৈরিতে খরচ পড়ছে বেশি। তাই অনেকে দেড় হাজারদুই হাজার টাকায় কম্বল কিনে নিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে লেপের চাহিদা অন্যান্য বছরের তুলনায় কমেছে।

আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের সামনে কথা হয় লেপের বিকল্প কম্পোর্টার বিক্রেতা সৈয়দ মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বেচাবিক্রি বেড়েছে। আমাদের এসব কম্পোর্টার আসে কোরিয়া থেকে। আমাদের এখানে আকার ভেদে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকার কম্পোর্টারও পাওয়া যাচ্ছে।

নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজারের কম্বল বিক্রেতা রাইসুল ইসলাম বলেন, কম্বল বিক্রি বেড়েছে। তবে আমদানি খরচ বাড়ার কারণে দাম গত বছরের চেয়ে দাম বেশি। বর্তমানে সিঙ্গেল কম্বল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়া ডাবল কম্বল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। আবার ডিজাইনভেদে কম্বলের দাম আরো বেশি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫১ বছরের অপেক্ষার অবসান
পরবর্তী নিবন্ধছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে টমটম চালক খুন