বান্দরবানে শীতের তীব্রতায় কাঁপছে পাহাড়ের মানুষ। প্রচণ্ড শীতে দৈনন্দিন কাজকর্মে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শীতার্ত মানুষগুলো। জেলার সাতটি উপজেলায় শীতবস্ত্রের অভাবে চরম কষ্ট পাচ্ছে পাহাড়ের শ্রমজীবী, দিনমজুর, দরিদ্র শ্রেণির অসহায় মানুষগুলো। শীতের তীব্রতায় বান্দরবান সদর হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সর্দি কাশিসহ ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত নারী, পুরুষ এবং শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে জেলায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, জেলা প্রশাসন শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ালেও স্থানীয়ভাবে কোনো জনপ্রতিনিধিদের নিজস্ব উদ্যোগে এখনো পর্যন্ত শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমও শুরু করেনি তারা অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার বাসিন্দার সাচথোয়াই মারমা, শৈটিং মং মারমা অভিযোগ করে বলেন, বহুবছর পর বান্দরবান জেলায় এবছর তীব্র শীত পড়ছে। গত কয়েকদিনের শীতে কাপছে পাহাড়ের শীতার্ত গরীব মানুষেরা। শীত নিবারণের জন্য খরখুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু শীতার্ত মানুষদের পাশে নেই জনপ্রতিনিধিরা। ভোটের সময় ভোট চাইতে আসলেও শীতে কষ্ট পাওয়া পাহাড়ি মানুষদের খবর নিতে আসেনি। শীতার্তদের মাঝে কোনো শীতবস্ত্রও বিতরণ করা হয়নি এখনো।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সদর হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যাও বাড়ছে ক্রমশ। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের। কিন্তু এ সময়টাতে মানুষকে আরও বেশি সতর্ক এবং সচেতন থাকতে হবে।
বান্দরবান আবহাওয়া অধিদপ্তরের জেলা কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল বলেন, এবছর বান্দরবান জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন ধরে এই অঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। যা বিগত কয়েকবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শুক্রবার’ রাতে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিও হয়েছে বান্দরবান জেলায়। তবে কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে আশা করছি।