বাকলিয়া থানা তাঁতীদল : মহানগর তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মালেকের উদ্যোগে বাকলিয়া থানা এলাকায় গরিব দুস্থদের মাঝে ৮ম দিনের মত ৩ তারিখ জানুয়ারি (শুক্রবার) দুপুর ৩টায় অসহায় গরিব শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, বাকলিয়া থানা তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক মো: ফারুক, ১৭নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ডিউক। আরও উপস্থিত ছিলেন ১৭, ১৮, ১৯নং ওয়ার্ড ও বাকললিয়া থানা মহিলা নেতৃবৃন্দ। কম্বল বিতরণকালে বাকলিয়া থানা তাঁতীদল ও মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মালেক বলেন, এই যে গরিব মানুষদের কম্বল দান করা হচ্ছে গরীব অসহায় শীতার্তদের কথা চিন্তা করে, আমার সংগঠন বাকলিয়া থানা তাঁতীদল দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এটি একটি মহৎ উদ্যোগ ও প্রশংসনীয়। তিনি আরও বলেন, শহীদ সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়া রহমান আদর্শকে ধারণ করে বাকলিয়া থানা তাঁতীদল দল মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দলের কাজ করে যাচ্ছে। কম্বল বিতরণ শেষে ১৭, ১৮ ও ১৯নং ওয়ার্ডে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লিফলেট বিতরণ করা হয়।
হরিণাদিঘী–হাইদচকিয়া ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ : ফটিকছড়ি প্রতিনিধি জানান, ফটিকছড়ির উপজেলার বৃহত্তর হরিণাদিঘী ও হাইদচকিয়া ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার সকালে সুন্দরপুর ইউনিয়নের হরিণাদিঘী দোকান চত্বরে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফেনী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপ–সচিব গোলাম হোসেন। তিনি বলেন, সমাজের অসহায় ও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। এমন উদ্যোগ কেবল শীতবস্ত্র বিতরণেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি মানুষে মানুষে সহমর্মিতা ও ভালোবাসার সেতুবন্ধন তৈরি করে। তরুণ সমাজ যদি এ ধরনের উদ্যোগে এগিয়ে আসে, তবে আমাদের সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। এ কাজের জন্য সংগঠনের সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতেও এমন মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই।
প্রধান আলোচক ছিলেন, সিরাজুল হক। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন হাইদচকিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন। আনোয়ারুল আজিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. নওয়াব হোসাইন সিকদার, মো. রফিক উদ্দিন সিকদার, মওলানা শামসুদ্দিন, মীর আবুল হাসেম, মো. আনোয়ার হোসেন ও শফিউল আলম সিকদার। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন, মইন শিকদার, ডা. রাশেদুল করিম, সীরাত মঞ্জুর, মোরশেদ সওদাগর, সৈয়দ হাসান, মো. এমরান, আবু বক্কর সিকদার, ডা. নেজাম উদ্দিন, শওকত হোসেন এবং মাওলানা শফিসহ পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
হালিশহর ঈদগাঁ কাঁচা রাস্তার মোড় : এ্যারোমা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ দিদারুল আলমের উদ্যোগে গরিব, দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় হালিশহর ঈদগাঁ কাঁচা রাস্তার মোড়ে এই কম্বল বিতরণ করা হয়। মোঃ মাহবুবুর রহমান সাগরের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ দিদারুল আলম চৌধুরী, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সিরাজুল হক মোঃ ওসমান মোহাম্মদ নাসির, কৃষক দলের রামপুর ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ হোসেন মিয়াসহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কুতুবদিয়া আবাম ফাউন্ডেশন : মহেশখালী প্রতিনিধি জানান, আবাম ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে সমপ্রতি কুতুবদিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ডেউটিন বিতরণ এবং এতিম ও অসহায় মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আবাম ফাউন্ডেশনের স্বাবলম্বী প্রজেক্টের আওতায় একজন বৃদ্ধকে নতুন রিকশা উপহার, ধূরুং–এ পু্ড়ে যাওয়া ৭টি পরিবারকে ১৪বান ডেউটিন ও শীতবস্ত্র, কৈয়ারবিল ৩নং ওয়ার্ডস্থ কেরানী জামে মসজিদে টিউবওয়েল স্থাপনসহ ১০টি এতিমখানায় ৫ শতাধিক এতিমদের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আবাম ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উপদেষ্টা মহেশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সহ সভাপতি সায়েদুল আলম মামুন, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিম মিজানসহ কুতুবদিয়ার অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
ক্যানভাস : শীতের হিমেল বাতাস আর কুয়াশার চাদরে ঢাকা বাংলাদেশে শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এরই মাঝে চট্টগ্রাম শহরের অসহায়, গৃহহীন মানুষগুলো শীতবস্ত্রের অভাবে দুঃসহ সময় পার করছে। তাদের এই কষ্ট লাঘবে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সামাজিক সংগঠন ক্যানভাস। ক্যানভাসের উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে বস্তি এলাকা ও ফুটপাতে বসবাসরত শীতার্ত মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হয় কম্বল, চাদর, সোয়েটারসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র। সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক দল আন্তরিকতার সঙ্গে শহরের অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। সংগঠনের সভাপতি মো. নওশাদ আলী এক বক্তব্যে বলেন, নতুন বছরের শুরুতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি মানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখতে। শীতার্ত মানুষের দুঃখ–কষ্ট দেখে চুপ করে থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। ক্যানভাসের এই মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সংগঠনের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হয়েছে। সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের শ্রম ও সময় দিয়ে এই মানবিক কার্যক্রম সফল করে তোলেন। এ ধরনের উদ্যোগই সমাজে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে এবং অসহায় মানুষদের জীবনে বয়ে আনে উষ্ণতার ছোঁয়া। ক্যানভাসের মতো সংগঠনগুলো তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় প্রমাণ করে দিয়েছে, মানবতার সেবাই সত্যিকারের উৎসব।