শীঘ্রই সংস্কার না হলে বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়বে দিয়াকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প

এখনো রয়ে গেছে গত বর্ষার ক্ষত

মুহাম্মদ এরশাদ, চন্দনাইশ | মঙ্গলবার , ১৩ মে, ২০২৫ at ৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভাধীন দিয়াকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করছে ১১৬টি ভূমিহীন পরিবার। গত বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সড়কের মাটি সরে গিয়ে সৃষ্টি হওয়া গর্ত এখনো রয়ে গেছে। এক বছরেও সংস্কার করা হয়নি সড়কটি। এদিকে আবারো বর্ষার আগমনী বার্তায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী বাসিন্দারা। তারা সড়কের মধ্যদিয়ে পরিকল্পিত নালা নির্মাণ ও সংস্কারের আবেদন জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দোহাজারী পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নিকট।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালে দিয়াকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত ১০০টি টিনের ঘর ভেঙে ২০২৩ সালে নতুন করে ১১৬টি পাকা ঘর নির্মাণ করে উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন উপকারভোগীদের নিকট আশ্রয়ণের ঘরগুলো হস্তান্তর করে। পাহাড় কেটে আশ্রয়ণের এসব ঘর নির্মাণ করা হলেও পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মাণ করা হয়নি পরিকল্পিত ড্রেন। ফলে গত বর্ষায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের মধ্যখানে এবং যোগাযোগের রাস্তা ধসে যায়। বর্তমানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সড়কের যে পরিস্থিতি তাতে আগামী বর্ষার আগেই সড়ক সংস্কার ও পরিকল্পিত নালা নির্মাণ না হলে চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা। আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান জানান, গত বর্ষায় প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সড়কটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েন। সড়কটি সংস্কার ও বর্ষার পানি নিষ্কাষণের জন্য গত বছরের ২৬ নভেম্বর ও চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দোহাজারী পৌর প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেন স্থানীয়রা। কিন্তু কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে আগামী জুনের পর দোহাজারী পৌরসভার পক্ষ থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সড়ক সংস্কারের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন দোহাজারী পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা।

বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাজিব হোসেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরেয়াজুদ্দিন বাজারে ট্রাক চাপায় পথচারীর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধভাসানচর থেকে পালিয়ে সীতাকুণ্ডে এসে ধরা ৪৫ রোহিঙ্গা