হাটহাজারীতে নিখোঁজের ১২ দিন পর শিশু ফাইজা আক্তার হালিমার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূলহোতা মো. নাছির উদ্দিন (৩৫) এবং ঘটনায় জড়িত মো. সাফায়েত হোসেন সাজিদ (১৬) নামে আরো দুজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এর আগে রোববার এ মামলায় ফোরকান (৩৫) নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হাটহাজারী মডেল থানা আটকের ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। গত রোববার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে মডেল থানাধীন মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ তাদের আটক করে। শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার মূলহুতা আটক মো. নাছির উদ্দিন রাঙ্গুনিয়া কোদালা ইউনিয়নের জামছড়ি এলাকার মাহমুদুল বাড়ি মৃত মো. মাহমুদুল হকের এবং মো. সাফায়েত হোসেন সাজিদ শিকারপুর ইউপির মো. সামসুদ্দিনের পুত্র। এর আগে শনিবার শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের পিতা মো. আকবর হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন সুমন গতকাল সোমবার রাতে দৈনিক আজাদীকে জানান, আটককৃতদের গতকাল আদালতে সোপর্দ করার পর ঘটনার মূলহুতা আসামি মো. নাছির উদ্দিন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান আটকের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য ভোলা জেলার ভোলা সদর থানার ৯ নং ওয়ার্ডস্থ গাজীর চর এলাকার মো. আকবর হোসেনের কন্যা ফাইজা আক্তার হালিমা (৮) পরিবারের সদস্যদের সাথে ২ মাস পূর্বে হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুরস্থ খালার বাসায় বেড়াতে আসে। ১১ জানুয়ারি হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়েছিলো সে। গত শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে পূর্ব শিকারপুর চন্দ্রাবিল থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।