শিশু ধর্ষণ মামলা পুনঃতদন্তের নির্দেশ

চার্জশিটে এজাহারভুক্ত আসামিকে বাদ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২০ at ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ

নগরীর আকবরশাহ এলাকায় ছয় বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় চার্জশিটে এজাহারনামীয় আসামিকে বাদ দেয়ায় আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জামিউল হায়দার চৌধুরীর আদালতে চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়া হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এইচ এম জিয়া হাবীব আহসান আজাদীকে বলেন, নির্ধারিত দিনে আদালতে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তার দাখিলকৃত একতরফা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে একটি নারাজী আবেদন দাখিল করা হয়। পরে আদালত শুনানি শেষে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য ডিবিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এসময় আদালত আগামী ধার্য্য তারিখে ডিএনএ রিপোর্টসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন বলে জানান তিনি। জিয়া হাবীব আহসান বলেন, মামলার বাদী এজাহারনামীয় আসামির বিরুদ্ধে যে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা কৌশলে এসব এড়িয়ে গেছেন। আসামিকে রক্ষার অপকৌশল হিসেবে একটি পক্ষপাতদুষ্ট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এর আগে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. আব্বাস হোসেন আজাদীকে বলেন, আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশনার পাশাপাশি আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী ধার্য্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার নির্ধারিত দিনে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৪ এর আদালতে মামলাটি শুনানির দিন ধার্য্য ছিল। এ সময় আদালতে দুই দফা শুনানিতে প্রায় এক ঘন্টা বাদীপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ মে আকবর শাহ এলাকায় নির্মল চন্দ্র আইচ নামে এক বৃদ্ধ ৬ বছরের এক শিশুকে চকলেট, বিস্কুট ও চিপস দিয়ে ফুসলিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তখনই আসামিকে শনাক্ত করার পর তাকে গ্রেপ্তার করে হাজতে প্রেরণ করা হয়। মামলাটির বাদী ছিলেন ভুক্তভোগী শিশুর রিকশা চালক বাবা সাজু মিয়া। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মহানগর হাকিম মো. শফি উদ্দিনের আদালতে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র শীল এজাহারনামীয় একমাত্র আসামির নাম বাদ দিয়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহত সিরিয়াল ধর্ষক বেলাল হোসেন নামে অন্য মামলার এক আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছেন। চার্জশিটে এজাহারনামীয় আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। গত ২২ অক্টোবর মহানগর হাকিম আদালত থেকে মামলাটি নারী ও শিশু ট্রাইবুন্যাল ৪ -এ স্থানান্তর করা হয়। একইসাথে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শো-কজের পাশাপাশি আসামি নির্মল চন্দ্র আইচকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশনাক্তে বিশ্বে ১৮তম স্থানে বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধ১০ আড়তে অভিযান