শিশু কিশোরদের মনের বিরূপ প্রভাব বুঝতে হবে আমাদের

নেছার আহমেদ খান | মঙ্গলবার , ৩০ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ

দেশের করোনা পরিস্থিতিতে যে অপরাধ ও সহিংসতা বেড়েছিল তাতে অবাক হবার কিছু নেই। বিশ্বজুড়ে সমস্ত ঘরবন্দি মানুষের মধ্যে সহিংসতা বেড়েছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে শিশুদেরও মনে। দেড়টা বছর জুড়ে পুরো বিশ্বে একটি সাইকোলজিক্যাল পেন্ডামিক এর দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন মনোবিজ্ঞানীরা। এর ধারাবাহিকতায় শিশু-কিশোরদের উপর মানসিক চাপ পড়েছে তারা বন্ধুদের সঙ্গে মেলামিশা করতে পারছে না, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় যে বিষয়গুলো বলতে পারতো একগুঁয়েমি ঘড় বন্দী হয়ে মা-বাবার সঙ্গে তা বলতে না পেরে কষ্ট পেয়েছে। তারা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন ইন্টারনেটে অনেক বেশি সময় অতিবাহিত করছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতির রূপ পাল্টেছে অন্যরকম একটি জগতের মুখোমুখি হয়েছে এরা। তবে যেসব পরিবারের সন্তান সন্তানেরা, ছোটবেলা থেকে মা বাবার সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরী হয়েছে তারা এখন ভালো সময় কাটাচ্ছে। এ ছেলেমেয়েরা অবাধ্য নয়, এরা বাবা মাকে কাজ কর্মে সাহায্য সহযোগিতা করছে তারা অভিভাবকদের সঙ্গে গল্পগুজবে সময় পার করছে। করোনা পরিস্থিতি আমাদের আরও একটি বিষয় শিখিয়েছে তাহলো ছোটবেলা থেকেই আমাদের সন্তানদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে যাতে তাদের সব কথা অভিভাবক কে বলতে পারে। স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সন্তানদের বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে। কিশোর-কিশোরীদের উপর খবরদারি করা মোটেই চলবে না। বারবার একই কথা বলা হলে তারা বিরক্তবোধ করবে। মহামারীর এই সময়ে শিশুদের বৈকল্য সময় কাটাতে সম্ভাব্য সব ধরনের বিকল্প কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। অনলাইন ক্লাস গুলোর বিস্তার বাড়িয়ে প্রয়োজনে স্কুল ড্রেস পরিয়ে এসব শিশুদের অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। মনে রাখা দরকার হতাশা থেকে রাগ হয় অল্পে ক্ষেপে যায়, পড়াশোনা করতে চায় না, মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এইসব সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। করুণা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দীর্ঘস্থায়ী হলে বাবা-মাকে সন্তানের প্রতি আরো আন্তরিক হতে হবে। কোনোভাবেই তাদের বকাঝকা করা যাবে না, তাদেরকে আদরের সাথে বোঝাতে হবে বাইরে এই শীতে আবার নতুন করে করোনা ভাইরাস আমাদের আক্রমণ করতে পারে, পরিস্থিতি পাল্টালে আবার আমরা অসুস্থ হয়ে পড়বো। লেখক সমাজকর্মী ও প্রাবন্ধিক

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানব জীবনের অলংকার
পরবর্তী নিবন্ধবড়াই